পবিত্র রমজানে আমরা রহমত দশকের শেষে দিকে চলে এসেছি। রমজানে খোদার কাছ থেকে বেশি বেশি রহমত
চেয়ে নেওয়ার আর মাত্র তিন বাকি রয়েছে। তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জন করতে পারার মধ্যে সন্মান রয়েছে আর কোন এবাদতে এতো সন্মান নেই। আসল কথা হচ্ছে সব কাজের সাথে তাকওয়ার একটা সম্পর্ক রয়ে গেছে। আর তাকওয়া আসবে তখনই যখন আমরা গীবত বা পরনিন্দা, হিংসা-বিদ্বেষ, সুদ-ঘুষ, হারাম উপার্জন থেকে দূরে থাকবো।
গীবত এর পারিভাষিক অর্থ হলো পরনিন্দা । গীবত এমন খারাপ একটি কাজ যার ফলে নামাজও কবুল না হওয়ার হুশিয়ারি বলা হয়েছে। আমরা কি পরনিন্দা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি?।
এরপর আসেন আমাদের উপার্জন কি হালাল? ইবাদতের পূর্বশর্ত হলো হালাল রুজি। হিংসা করলেও ইবাদত কবুল হবে না। হিংসা কেন করবো, আমার তো কোন উপকারে আসবে না উপরন্তু ক্ষতি ডেকে আনে।
কাজেই গীবত, হারাম খাওয়া এবং হিংসা- এই তিনটি কঠিন কবিরা গুনাহ থেকে বাঁচতে পারলে লোভ, অহঙ্কার, পরের হক নষ্ট, অশ্লীলতা ইত্যাদি পাপগুলো থেকে আল্লাহ পাকই রক্ষা করবেন, যদি আমাদের নিয়ত সহিহ হয়।
আল্লাহতায়ালা ক্ষমাশীল এবং পরম দয়ালু। উপরোক্ত খারাপ কাজগুলো পরিহার করি এবং অনুতপ্ত হই। আর বিনয়ের সঙ্গে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। তাহলেই তাকওয়ার মাধ্যমে অঅল্লাহ রহমত পাওয়া যাবে।
সামনের রহমতের তিন দিনের রোজাগুলো যাতে তাকওয়ার সঙ্গে খোদার রহমত হয় সেই চেষ্টা করি। তবেই আমাদের ত্যাগ ও সংযমের স্বার্থকতা আসবে।
উল্লেখ্য যে আজ মাহে রমজানের শুক্রবার পড়েছে। বন্ধের এইদিনে বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত ও অন্যান্য আমলের মাধ্যমে খোদার কাছে নিজের ও মুসলিম উম্মার জন্য রহমতের দোয়া করি।
