• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

ধর্ম

সালামের গুরুত্ব ও ফজিলত

  • প্রকাশিত ২৬ অক্টোবর ২০২০

মিনহাজ উদ্দিন

 

 

মুসলমানদের অভিভাদন-সম্বোধনের একমাত্র মাধ্যম হলো সালাম। ইসলামের বিধান হলো, আগে সালাম পরে কালাম। অর্থাৎ সালাম দিয়ে কথা শুরু করবে। মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা মানুষকে খাওয়াবে আর পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম দেবে।’ সালাম নবীজির সুন্নাত ও নির্দেশ। আর সালামে বাধা দেওয়া সুন্নাত পরিপন্থী, শয়তানের কাজ।

সালামের অনেক সওয়াব ও ফজিলত রয়েছে। কারো সাথে সাক্ষাৎ হলেই সালাম দিতে হয়। শুধু সাক্ষাৎ নয়, কারো ঘরে ঢোকার পূর্বে সালাম দেওয়া জরুরি। এমনকি নিজ বাড়িতে গিয়ে ঘরে ঢোকার সময়ও সালাম দিতে হবে। এ ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘অতঃপর যখন তোমরা ঘরে প্রবেশ কর, তখন তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম বলবে। এটা আল্লাহর কাছ থেকে কল্যাণময় ও পবিত্র দোয়া। এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা বুঝে নাও।’ (সুরা নুর ২৪ : ৬১)

আল্লাহপাক এ আয়াতে সালামকে কল্যাণময় ও পবিত্র দোয়া হিসেবে উল্লেখ করেছেন করেছেন। হাদিসেও সালামের ব্যাপারে অনেক ফজিলত ও উপকারিতার কথা বর্ণিত আছে। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছেন, ‘হে বৎস, তুমি যখন তোমার পরিবার-পরিজনের কাছে যাবে, তখন সালাম দেবে। তাতে তোমার ও তোমার পরিবার-পরিজনের কল্যাণ হবে।’ (তিরমিজি)।

নিজ পরিবার-পরিজনের একে অপরকে সালাম দেবে। স্বামী-স্ত্রী, বাবা-মা, ভাই-বোন, সন্তান সবাইকে সালাম দেবে। যে সালামের প্রচার করে আল্লাহতায়ালা তার জিম্মাদার হয়ে যান। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহতায়ালা তিন শ্রেণির লোকের জিম্মাদার হন- যে ব্যক্তি সালাম দিয়ে তার বাড়িতে প্রবেশ করে। অর্থাৎ ঘরে স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মা, ভাই-বোন, ছোট-বড় যেই থাকুক না কেন; তাদের সালাম দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে। আল্লাহতায়ালা ওই বাড়িকে ওই ব্যক্তিকে হেফাজত করেন।’ (আদাবুল মুফরাদ)।

পরস্পর সাক্ষাতে সালাম বিনিময়ে রয়েছে অনেক সাওয়াব। হজরত ইমরান ইবনু হুসাইন (রা.) বর্ণনা করেন- একবার এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললেন, ‘আসসালামু আলাইকুম।’ তখন তিনি বললেন, লোকটির জন্য ১০টি নেকি লেখা হয়েছে। এরপর অন্য এক ব্যক্তি এসে (একটু বাড়িয়ে) বললেন, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।’ তখন আল্লাহর রাসুল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সালামের উত্তর দিয়ে বললেন, তার জন্য ২০টি নেকি লেখা হয়েছে। এরপর অন্য এক ব্যক্তি এসে (আরো একটি শব্দ বাড়িয়ে) বললেন, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু।’ তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার (সালামের) উত্তর দিয়ে বললেন, লোকটির জন্য ৩০টি নেকি লেখা হয়েছে।’ (তালিকুর রাগিব, তিরমিজি, আবু দাউদ, মুসনাদে আহমদ, মেশকাত)। আল্লাহতায়ালা আমাদের সকলকে সালামের গুরুত্ব ও ফজিলত বোঝার তাওফিক দান করুন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads