• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে রোবট

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ মার্চ ২০১৮

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আগামী ২৫ বছরের মধ্যে মানুষের অর্ধেক কর্মসংস্থান চলে যাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা রোবটের হাতে। এমন খবরে অনেকের কপালে দেখা গেছে উদ্বেগের ছাপ।

তবে এ খবরকে আবার হেসেই উড়িয়ে দিচ্ছেন অনেকে। শিল্প বিপ্লবের কথাই ধরা যাক। সে সময় অনেকেরই আশঙ্কা ছিল কর্মহীন হয়ে পড়বেন কৃষকরা। কিন্তু মোটেই তেমনটি হয়নি। বরং শিল্প কারখানা বৃদ্ধির কারণে সেখানে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছিল।

রোবট বিপ্লবকে এর ব্যতিক্রম কিছু মনে করছেন না অনেক বিশ্লেষক। তাদের মতে, রোবটের ব্যবহার বাড়লে তাতেও অনেক মানুষের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে আগামী ১০ বছরে।

কিন্তু কেমন করে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কগনিজ্যান্টের মতে, অন্তত ২১টি নতুন ধরনের চাকরির সুযোগ তৈরি হবে রোবটের ব্যবহার বাড়ার কারণে। চলুন দেখে নেওয়া যাক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি-

ডাটা ডিটেকটিভ : গোয়েন্দা কল্পকাহিনী কিংবা টিভি সিরিজ দেখে অনেকের মনেই গোয়েন্দা হওয়ার শখ উঁকি দেয়। কগনিজ্যান্টের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ার কারণে বিগ ডাটা নিয়ে অনেক সমস্যাও তৈরি হবে। এসব সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার জন্য প্রয়োজন পড়বে ডাটা অ্যানালাইসিসে দক্ষ মানবসম্পদের।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজন পড়তে পারে এমন মানবসম্পদের। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এ কাজের সুযোগ আসছে বলে অনুমান প্রতিষ্ঠানটির।

আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্ট বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার : যেকোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্যই বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও প্রয়োজন পড়বে দক্ষ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজারের। অন্তত রোবট এ কাজে খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না, তাই সুযোগ থাকবে মানুষের হাতেই।

ফিটনেস কমিটমেন্ট কাউন্সিলর : বর্তমানে যেমন রয়েছে, তেমনি ভবিষ্যতেও থাকবে মানুষের স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যা। ফিটনেস ট্র্যাকার হিসেবে মানুষ ব্যবহার করবে নানা ধরনের গেজেট যা সার্বক্ষণিক ব্যবহারকারীর বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে ফল তৈরির জন্য প্রয়োজন হবে দক্ষ ডাটা অ্যানালিস্টের যারা কাজ করবেন ফিটনেস কমিটমেন্ট কাউন্সিলর হিসেবে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবী : স্বাস্থ্যসেবা খাতে প্রযুক্তি তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ভবিষ্যতের দিনগুলোয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে। আর তাই এ পেশায় যারা রয়েছেন- তাদের জন্য স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির ব্যবহার জানার গুরুত্বও বাড়বে। যারা এগিয়ে থাকবেন, তাদের জন্য অনেক কাজের সুযোগ তৈরি হবে এটি নিঃসন্দেহেই বলা যায়।

সাইবার সিটি অ্যানালিস্ট : বর্তমান সময়ে আলোচিত একটি বিষয় হলো স্মার্ট সিটি। সামনের দিনগুলোতে প্রযুক্তিকে ঘিরে এমন অনেক স্মার্ট সিটি গড়ে উঠবে। এসব স্মার্ট শহর এবং শহরের বাসিন্দাদের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং সেগুলো বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দরকার হবে ডাটা অ্যানালিস্টের।

মানুষ-রোবট সমন্বয়ক : রোবটের ব্যবহার বাড়লে একসময় মানুষ এবং রোবট কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে কর্মক্ষেত্রে। এসব ক্ষেত্রে মানুষ এবং রোবটের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য দরকার হবে আরো এক শ্রেণির পেশাজীবীর, যারা এই দুই ধরনের মানুষের কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এবং যথাযথ সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় কর্ম সম্পাদনে সাহায্য করবেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads