• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ফেসবুকে আসক্তি ঠেকাতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে বিটিআরসি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ মার্চ ২০১৮

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের আসক্তি ঠেকাতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। কমিশনের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ রোববার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকে ডিজিটাল আফিম আখ্যায়িত করে নতুন এক পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

শাহজাহান মাহমুদ বলেন, এটা অনস্বীকার্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সবার হাতে হাতে পৌঁছে গেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ঘাঁটাটায় (ব্রাউজ) প্র্যাকটিক্যালি ইয়ঙ্গার জেনারেশনে খুব একটা ক্রিয়েটিভ হচ্ছে না। আমি দেখেছি ইয়ঙ্গার জেনারেশনের ভেতরে ম্যাক্সিমাম ব্যবহার করে ফেসবুক চ্যাটিং করার জন্য। এটি কিন্তু ক্রিয়েটিভ ইউজ না।

তরুণদের ইন্টারনেটে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, এটি ‘ডিজিটাল কোকেন’ অ্যাডিকশনের মতো হয়ে গেছে। আজকাল ইয়ঙ্গার জেনারেশন একবার ফেসবুকের মধ্যে ঢুকলে আর বের হতে চায় না।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ‘সামাজিক বিপ্লব’ দরকার মন্তব্য করার সঙ্গে নিজের সংস্থার পক্ষ থেকে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, খুব শিগগিরই প্রস্তাব করব, যাতে ইন্টারনেটে ক্রিয়েটিভ ইউজের জন্য কোনো বন্দোবস্ত করা যায়। কোনো একটা বিশেষ রেট দেওয়া যায় ফেসবুক ব্যবহারের জন্য, আবার ক্রিয়েটিভ ইউজ যদি করা যায়, তাহলে আরেক রকমের রেট। তাহলে হয়তো ফেসবুক ব্যবহার না করে নলেজ আহরণের জন্য চেষ্টা করবে।

‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে টেলিযোগাযোগ সেক্টরের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান এই খাতে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার নিরাপদ করতে বিটিআরসি নানা উদ্যোগ নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমরা ইন্টারনেট প্রসারের ব্যাপারে চেষ্টা করে যাই, মাইলের পর মাইল ফাইবার অপটিক নিয়ে যাচ্ছি, তবে নিরাপত্তার দিকে তেমন নজর দেওয়া হচ্ছে না। এসব নতুন নতুন বিষয়ে জনগণকে আরো নিরাপত্তা দিতে বিটিআরসিতে ল্যাব প্রতিষ্ঠা করতে সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছি। সরকার অনুমোদন দিলে শুধু নিরাপত্তা নয়, অন্যান্য অনেক বিষয়ে এ ধরনের সেবা জনগণের হাতে দেওয়ার আগে ল্যাবরেটরিতে টেস্ট করে দেখব, ভালো কোনটা, খারাপ কোনটা। যাতে জনগণ আরো ভালো সুবিধা পায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিশেষ অতিথি ছিলেন টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার। বিটিআরসি সচিব মো. সরওয়ার আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা আলম এবং অ্যামটব মহাসচিব টিআইএম নূরুল কবিরও বক্তব্য রাখেন।

 

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads