• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

এবার সূর্যে যান পাঠাবে নাসা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৯ এপ্রিল ২০১৮

এবার সূর্যে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার এক বিশেষ যান। সেখানে পা রাখা দূরস্থান, তার কাছাকাছি পৌঁছনোই সম্ভব নয়। এবার সেই চ্যালেঞ্জিং কাজটিই করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

নাসার অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে জানানো হয়েছে, এ জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সাধারণ মানুষকে। সেই বিশেষ যানে করে নিবন্ধিতদের নাম পৌঁছে যাবে সূর্যে। সূর্যকে ছোঁয়ার নাসার এ প্রথম মিশনের নাম দেয়া হয়েছে ‘পার্কার সোলার প্রোব মিশন’।

চলতি মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেই ‘HotTicket’ হিসেবে এই মিশনের সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে (go.nasa.gov/HotTicket)।

নাসার তথ্য অনুযায়ী, ছোট একটি গাড়ির সাইজের স্পেসক্র্যাফট, পৃথিবীর মাটি থেকে রওনা হয়ে সোজা যাবে সূর্যের দিকে। সূর্য পৃষ্ঠ থেকে ৪০ লাখ মাইল দূরত্ব দিয়ে, প্রায় ৪৩০,০০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় গতিতে স্পেসক্র্যাফটটি যাবে বলে জানিয়েছে নাসা।

প্রসঙ্গত, এই গতিতে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে মাত্র এক মিনিটেই পৌঁছে যাওয়া যাবে টোকিও শহরে। অর্থাৎ, এক মিনিটে প্রায় ১০,৯০৫ কিলোমিটার।

সূর্যের ম্যাগনেটিক ফিল্ড, প্লাজমা ও এনার্জি পার্টিকাল এবং সূর্যের হাওয়া— মূলত এই বিষয়গুলি নিয়ে তথ্য ও ছবি সংগ্রহের কাজ করবে এই মহাকাশযান।

সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মহাকাশযান ও তার যন্ত্রপাতির চারপাশে সাড়ে ৪ ইঞ্চির একটি মোটা ‘কার্বন কম্পোজিট’দেওয়াল থাকবে। ২৫০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই এই কার্বন কম্পোজিট শিল্ড।

সূর্য-যাত্রার এই মিশনের নাম প্রথমে দেওয়া হয়েছিল ‘সোলার প্রোব প্লাস’। ২০১৭ সালের মে মাসে, তা পাল্টে দেওয়া হয় ‘পার্কার সোলার প্রোব মিশন’। মহাকাশ বিজ্ঞানী ইউজিন পার্কারের নামানুসারে।

প্রসঙ্গত, এই প্রথম নাসা তার কোনও মিশনের নাম রাখলো ব্যাক্তির নামে। এর কারণ, ‘হিলিওফিজিক্স’ ও ‘স্পেস সায়েন্স’-এ বিজ্ঞানী পার্কারের অবদান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads