শপথ পাঠ ও পতাকা হাতবদলের মাধ্যমে দায়িত্ব বুঝে নিল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২০১৮-২০ মেয়াদের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ। রোববার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) গুলনকশা মিলনায়তনে এই দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদকে শপথ পাঠ করান বেসিসের সাবেক সভাপতি ও নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান এসএম কামাল। এরপর নবনির্বাচিত সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের হাতে পতাকা তুলে দেন বেসিসের ২০১৬-১৮ মেয়াদের সভাপতি ও বর্তমান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্য মোস্তাফা জব্বার বলেন, বেসিসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে এ সংগঠনের প্রতিটি ধাপের সঙ্গেই আমি যুক্ত ছিলাম, এখনো আছি। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সদস্যদের সংগঠন হিসেবে সব সময় এ খাতের উন্নয়নের সদস্যরা আপসহীনভাবে সব কাজ করে এসেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বেসিস এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে, যা সবার জন্য গর্ব করার মতো। আমি বেসিসের সদস্য হিসেবে গর্বিত। বেসিসের সূচনালগ্নে আমাদের চিন্তা ছিল কীভাবে বাংলাদেশ থেকে সফটওয়্যার রফতানি করা যায়। আর আজ বাংলাদেশ বিশ্বের ৮০টি দেশে সফটওয়্যার রফতানি করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে বেসিসের অবদান অনস্বীকার্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেছেন তা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ লক্ষ্যে বেসিসও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশীদার। বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সব সময় বেসিসের পাশে ছিল, থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন- ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড, বাংলাদেশ ইন্টারনেট সপ্তাহ, বাংলাদেশ সরকারের তথ্য বাতায়ন সেবাসহ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্পে বেসিস তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে একযোগে কাজ করে আসছে। আজ অভিনন্দন জানানোর দিন। আমি বেসিসের কার্যনির্বাহী পরিষদের সব সদস্যকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আশা করি, উন্নতির ক্রমবর্ধমান ধারা বেসিস অব্যাহত রাখবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বেসিসের নবনির্বাচিত সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বেসরকারি অংশীদার হিসেবে বেসিস প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আজকের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ দায়িত্ব নেওয়ার মাধ্যমে উন্নয়নের সেই ধারা অব্যাহত রাখবে। বেসিস তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সদস্যদের সংগঠন, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। সদস্যদের প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধনের পাশাপাশি সারা তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে আরো সমৃদ্ধ করতে সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাবে বেসিস।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী কার্যনির্বাহী পরিষদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ বক্তব্য দেন বিদায়ী বেসিস পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বেসিসের নবনির্বাচিত জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ, সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান, পরিচালক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন, দিদারুল আলম, লুনা শামসুদ্দোহা ও মোস্তফা রফিকুল ইসলাম। তবে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না আরেক পরিচালক ফাহিম মাসরুর।
বিদায়ী কার্যনির্বাহী পরিষদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বিদায়ী সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান, বিদায়ী পরিচালক উত্তম কুমার পাল, পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, পরিচালক সোনিয়া বশির কবির ও পরিচালক দেলোয়ার হোসেন ফারুক।
উল্লেখ্য, ৩১ মার্চ ২০১৮-২০ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
