• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

বরফর মধ্যে খেলা করছে পেঙ্গুইন

ছবি: সংগৃহিত

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

তুষারপাত বাড়ছে অ্যান্টার্কটিকায়

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১০ এপ্রিল ২০১৮

পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা। দক্ষিণ মেরুতে অবস্থিত অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের গড়ে ৯৮ ভাগই প্রায় দুই কিলোমিটার পুরু বরফাবৃত। তবে মাঝেমধ্যেই বিজ্ঞানীরা অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলে যাওয়া সম্পর্কে সাবধান করছেন পৃথিবীর মানুষকে। তবে এবার গবেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা।

গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে এক দশকে তুষারপাতের হার অনেকটাই বেড়েছে। গবেষকরা বলছেন, শ্বেত-শুভ্র এই মহাদেশটিতে ২০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তুষারপাত হয়েছে।

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ে যখন পুরো পৃথিবীর মাথাই উদ্বেগে ঘামছে, তখন এই খবব কিছুটা স্বস্তি নিয়ে এসেছে বলেও মনে করছেন অনেকে।

গবেষকদের তথ্য মতে, ১৮০১ থেকে ১৮১০ সালের এই দশকের তুলনায় ২০০১ থেকে ২০১০ সালের দশকে ১০ শতাংশ বা ২৭২ বিলিয়ন টন বেশি তুষারপাত হয়েছে।

বিবিসি বলছে, আলোচ্য দশকে ওই মহাদেশে যে পরিমাণ বাড়তি তুষারপাত হয়েছে, তার পরিমাণ মৃত সাগরে যে পরিমাণ পানি আছে তার দ্বিগুণ।

গবেষকরা বলছেন, বাড়তি এই তুষারে পুরো নিউজিল্যান্ডকে এক মিটার পানির তলে তলিয়ে দেওয়া সম্ভব।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছ, গবেষক দলের প্রধান ড. লিজ থমাস অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ইউরোপিয়ান ভূ-তত্ত্ববিদদের এক সম্মেলনে এ-সংক্রান্ত গবেষণা নিবন্ধটি উপস্থাপন করেন।

ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিকা সার্ভের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে উষ্ণায়নের কারণে বফরের যে গলন শুরু হয়েছে তাতে নতুন দৃষ্টি দিতে বাধ্য করবে এই তথ্য। তবে বড় বড় হিমশৈলীগুলো যখন গলে যাচ্ছে তখন কীভাবে তুষারপাতে এই পরিবর্তন হচ্ছে তা এখনো বোধগম্য নয়।

এর আগে বিজ্ঞানীরা সাবধান করেছিলেন, পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকায় বছরে ১২ হাজার থেকে ১৪ হাজার কোটি টন বরফ গলে যাচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার জন্য এটিকেই সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। আর এসব কিছুর পেছনে বৈশ্বিক উষ্ণায়নই মূল কারণ বলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads