• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
বিড়াল রাতে দেখতে পারে কেন?

স্বল্প আলোতে বিড়াল মানুষের চেয়ে ভালো দেখতে পায়

ছবি : ইন্টারনেট

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বিড়াল রাতে দেখতে পারে কেন?

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৩ মে ২০১৮

রাতের অন্ধকারে বিড়ালের চোখ জ্বলজ্বল করতে দেখে অনেকেরই মনে হতে পারে অন্ধকারের মধ্যেও বিড়াল ভালো দেখতে পায়। তবে সেটি কিন্তু ঠিক নয়। অন্ধকারের মধ্যে বিড়াল কখনো দেখতে পায় না। স্বল্প আলোতে এরা মানুষের তুলনায় বেশ ভালো দেখতে পায়। কিন্তু দিনের আলোয় এরা তেমন একটা ভালো দেখতে পায় না। কিন্তু কেন এমন হয় বিড়ালের ক্ষেত্রে?

সাধারণত কোনো বস্তু থেকে আলো যখন চোখে এসে পড়ে তখন ওই বস্তুটি দৃশ্যমান হয়। সেটা মানুষ বা অন্য যেকোনো প্রাণীর ক্ষেত্রে একই থাকে। তবে বিড়ালের চোখ তার মাথার আকারের তুলনায় বেশ বড় বলে চোখের মধ্য দিয়ে অনেক বেশি পরিমাণ আলো মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। এ কারণে অনেক অনুজ্জ্বল বস্তুও তারা ভালো দেখতে পায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিড়ালের চোখ অনেকেটা বাইনোকুলারের মতোই কাজ করে। বাইনোকুলারের তুলনামূলক বড় লেন্স অনেক বেশি আলো একীভূত করে চোখে পাঠায়। তাই অনুজ্জ্বল বা অনেকে দূরের ঝাপসা বস্তুকেও ভালো দেখা যায়।

অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণীর চোখের পেছনের দিকে রেটিনা নামক একটি অংশ আছে। এতে প্রধানত দুই ধরনের আলোকসংবেদনশীল কোষ থাকে। এরা ‘রড’ ও ‘কোণ’ নামে পরিচিত। রড কোষগুলো অনুজ্জ্বল আলোতে দেখার জন্য অধিকতর উপযোগী। এরা অনুজ্জ্বল আলোকে বর্ধিত করে ফেলতে পারে। ফলে বস্তুগুলো ভালো দেখা যায়। তবে এরা রঙের পার্থক্য ধরতে পারে না। এদের উপস্থিতির কারণেই আমরা রাতের বেলা হালকা তারার আলোতেও রাস্তা ধরে পথ চলতে পারি।

কোণ কোষগুলো উজ্জ্বল আলোয় ভালো কাজ করে। এরা রঙের পার্থক্য ভালো ধরতে পারে। এ কারণেই দিনের বেলা সবকিছু রঙিন মনে হয়।

অন্যান্য স্তন্যপায়ীর মতোই মানুষ বা বিড়াল উভয়ের চোখেই এই কোষগুলো থাকে। তবে বিড়ালের চোখে কোণের চেয়ে রড কোষের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। তাই এরা উজ্জ্বল থেকে অনুজ্জ্বল আলোয় বেশি ভালো দেখতে পায়। মানুষের ক্ষেত্রে ঠিক উল্টোটা সত্যি। ফলে মানুষ অনুজ্জ্বল আলোয় ভালো না দেখলেও উজ্জ্বল আলোয় খুব ভালো দেখতে পায়।

নিশাচর প্রাণীদের চোখে রেটিনার পিছনের দিকে ট্যাপেটাম লুসিডাম (tapetum lucidum) নামক এক ধরনের অংশ থাকে। এটি অনেকটা আয়নার মতো কাজ করে। চোখের গোলাকার রেটিনায় যে আলো প্রবেশ করে সেটি ট্যাপেটামে প্রতিফলিত হয়ে আবার রেটিনায় এসে পড়ে। ফলে স্বল্প আলোর একটি অংশ আবার দেখতে পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। এতে অবশ্য বস্তুটি একটু ঝাপসা হয়ে যায়। তাই বিড়াল অনুজ্জ্বল বস্তু ভালো দেখতে পেলেও আমরা পাই না।

আর এই ট্যাপেটামে আলোর প্রতিফলনের কারণেই রাতের বেলায় বিড়ালের চোখ জ্বলজ্বল করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads