• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
তার ছাড়াই কম্পিউটার ও মস্তিষ্কের মধ্যে সংযোগের চেষ্টা

গবেষকরা মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগের কাজটি বাস্তবেই করে দেখিয়েছেন

ইন্টারনেট

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

তার ছাড়াই কম্পিউটার ও মস্তিষ্কের মধ্যে সংযোগের চেষ্টা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১২ জুন ২০১৮

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে মাঝেমধ্যে দেখা যায় কলকব্জা আর নানা ধরনের যন্ত্রের সমন্বয়ে তৈরি একটি চেয়ারে কাউকে বসিয়ে মাথায় জুড়ে দেওয়া হচ্ছে নানা ধরনের তার ও যন্ত্র। এ ধরনের দৃশ্যে সাধারণত মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটার বা বাহ্যিক কোনো কিছুর সংযোগ বোঝানো হয়। কিন্তু ২০১৭ সালের দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উইটস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে সরাসরি ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার কাজটি বাস্তবেই করে দেখান।

তারা সে সময় বায়োমেডিকেল প্রকৌশলের মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্ককে ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত করেন। ব্রেইনটারনেট নামে একটি প্রকল্পের আওতায় ব্যবহারকারীর মস্তিষ্ককে একটি ডিভাইসের সঙ্গে যুক্ত করে মস্তিষ্ক থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালগুলো সংরক্ষণ করা হয় ও পরে ওই সিগন্যালগুলোকে একটি রাসবেরি পাই কম্পিউটারে পাঠানো হয়। তবে এবার মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক এমন একটি প্রযুক্তির জন্য কাজ করছেন যার মাধ্যমে মানুষের ব্রেইন সরাসরি কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে। তবে ইলন মাস্কের নতুন এই প্রকল্পে মস্তিষ্ক সরাসরি কম্পিউটারের সঙ্গে প্লাগ ইন করা হবে না। এখানে ব্যবহার হবে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক হ্যালমেট। মস্তিষ্ক থেকে নির্গত তরঙ্গকে সিগন্যাল হিসেবে গ্রহণ করা এবং তা কম্পিউটারে প্রেরণ করা হচ্ছে ওই হ্যালমেটের কাজ।

তেমনিভাবে কম্পিউটারও তরঙ্গ হিসেবে সিগন্যাল প্রেরণ করবে, যা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক হ্যালমেট গ্রহণ করে মস্তিষ্কের উপযোগী করে নেবে। আর এর মাধ্যমে কম্পিউটার এবং মস্তিষ্ক একে অপরের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি সত্যিই এই প্রযুক্তি বাস্তবায়িত হয় তাহলে এর ফল মানবজাতির জন্য অনেক কিছু বয়ে আনবে। এটি বাস্তবায়ন হলে প্রতিবন্ধীরা হাত-পায়ের সাহায্য ছাড়াই কোনো কিছু নাড়ানো, খাওয়া, মস্তিষ্কের মাধ্যমে কথা বলা, মস্তিষ্কের সাহায্যে গাড়ি বা যানবাহন চালানোসহ অনেক কিছু করতে সক্ষম হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads