• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ফেসবুক আসক্তি কমানোর উপায়

ফেসবুক মানুষকে যতটা না সামাজিক করছে, তার থেকে বেশি অসামাজিক জীবে পরিণত করছে

ছবি : ইন্টারনেট

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ফেসবুক আসক্তি কমানোর উপায়

  • শাহাদাত হোসেন
  • প্রকাশিত ১৯ আগস্ট ২০১৮

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক মানুষকে যতটা না সামাজিক করছে, তার থেকে বেশি অসামাজিক জীবে পরিণত করছে। মজার বিষয় হলো প্ল্যাটফর্মটিতে সামাজিকতা রক্ষা করতে গিয়ে অনেকেই এখানে আসক্ত হয়ে পড়ছেন। কোনো আপডেট না থাকলেও প্রতি মুহূর্তেই স্ক্রল করেই যাচ্ছেন আর সময় নষ্ট করেই চলেছেন, এমন মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়।

অথচ ফেসবুকে যে পরিমাণ সময় নষ্ট হয়, সে সময়টা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে কিংবা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খোশগল্প করে কাটানো যেত।

কীভাবে বুঝবেন আপনি ফেসবুকে আসক্ত কি না?

১. ফেসবুক ব্যবহারের অনুমতি নেই, এমন স্থানেও (যেমন-অফিস) আপনি কী ফেসবুক ব্যবহারের জন্য মুখিয়ে থাকেন?

২. মানুষের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলা কিংবা প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানো থেকে কি আপনি ফেসবুকেই বেশি সময় কাটাতে পছন্দ করেন?

৩. পরিকল্পনা থেকেও যদি বেশি সময় ফেসবুকে ব্যয় করে থাকেন

৪. রাতে ঘুমানো বাদ দিয়ে ফেসবুক স্ক্রল করতেই থাকেন?

৫. পোস্ট করার পর লাইক, কমেন্ট চেক করার জন্য কিছু সময় পর পরই ফেসবুকে লগইন করেন?

৬. অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজের মাঝেও নোটিফিকেশন এলে সেটি চেক করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন?

যদি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে আপনি ফেসবুকে আসক্ত। এই আসক্তি দূর করার জন্য অনেক উপায় রয়েছে। চলুন কয়েকটি দেখে নেওয়া যাক-

ফেসবুক ব্লকিং সফটওয়্যার

কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে এমন কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল করুন যেটি একটি নির্দিষ্ট সময় পর ফেসবুক ব্লক করে রাখবে। শুধু ফেসবুকই নয়, সময় নষ্ট করে এ রকম অন্যান্য ওয়েবসাইটও ব্লক করে রাখতে সক্ষম এসব সফটওয়্যার। ‘সেলফ কন্ট্রোল’ নামে একটি সফটওয়্যার রয়েছে যা ম্যাকে ফেসবুক এবং এ ধরনের অন্যান্য ওয়েবসাইট ব্লক করে রাখবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর। এ ছাড়া আছে কোল্ডটার্কি এবং ফেসবুক লিমিটার নামের আরো কিছু সফটওয়্যারও।

ফেসবুক টাইম জার্নাল

আপনি সপ্তাহে কিংবা প্রতিদিন কত সময় ফেসবুক ব্যবহার করবেন, সেটি আগে থেকে নির্ধারণ করে নিতে পারেন। প্রতিবার কত সময় ফেসবুকে কাটালেন সেটি টুকে রেখে প্রতিদিন কত সময় ফেসবুক ব্যবহার করলেন সেটি নির্ধারণ করতে পারেন। যদি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের তুলনায় কম সময় ফেসবুকে ব্যয় করতে পারেন, তাহলে ধীরে ধীরে এ সময় আরো কমিয়ে আনুন।

অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট করা

ওপরের দুই পদ্ধতিতে কাজ না হলে মাঝে মাঝে অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট করে রাখতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে নিজের লক্ষ্যে অটল থাকতে হবে যেন মনে হলেই পুনরায় অ্যাকাউন্ট চালু করে না ফেলতে পারেন।

স্থায়ীভাবে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া

একেবারেই যদি কোনো পদ্ধতি কাজে না আসে এবং ফেসবুক দৈনন্দিন কাজ সম্পন্ন করার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, সেক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিন। এক্ষেত্রে আপনার বন্ধু তালিকার কেউ বিষয়টি জানতে পারবে না। তবে অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করার আগে সকল ডাটার ব্যাকআপ নিয়ে নিতে ভুলবেন না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads