• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
মহাকাশ অভিযাত্রায় নতুন যুগ আসছে

মহাকাশ স্টেশনে নভোচারীদের পৌঁছে দিয়ে পৃথিবীতে ফিরে ফ্যালকন ৯ রকেট

ছবি : ইন্টারনেট

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

মহাকাশ অভিযাত্রায় নতুন যুগ আসছে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মহাকাশ অভিযাত্রায় এক নতুন যুগ সূচনার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা ও দেশটির বেসরকারি মহাকাশ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স। আসছে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে এক দিনের মধ্যেই মহাকাশ স্টেশনে নভোচারীদের পৌঁছে দিয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবে স্পেস এক্সের তৈরি বাহন ফ্যালকন ৯ রকেট।

এতদিন নাসা নিজেদের তৈরি মহাকাশযানেই যাবতীয় মহাকাশ অভিযান চালিয়েছে। তবে এই প্রথমবারের মতো মহাকাশে অভিযাত্রীদের পাঠাতে বেসরকারি সংস্থার রকেট ব্যবহার করবে নাসা।

এ বিষয়ে নাসার এক খবরে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের কোনো এক দিন নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানী বব বেহনেকেন ও ডাফ হারলেকে নিয়ে ডেমো-২ নামের একটি এক দিনের অভিযান পরীক্ষামূলকভাবে পরিচালনা করবে ফ্যালকন ৯ রকেট।

নাসার ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে বলা হয়েছে, ওই পরীক্ষামূলক মহাকাশযাত্রা সফল হলে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করবে নাসা ও স্পেস এক্স।

খবরে বলা হয়েছে, মহাকাশ যাত্রার আগে নাসার তৈরি ক্রু ড্রাগন নামের মহাকাশযানে আরোহণ করবেন এরপর স্পেস এক্সের তৈরি ফ্যালকন রকেটে জ্বালানি ভরা হবে।

তবে স্পেস এক্সের সঙ্গে যৌথভাবে মহাকাশ অভিযানের সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেলেও অভিযান পরিচালনার আগে নাসার চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেতে হবে যৌথ প্রকল্পটির।

এদিকে আসন্ন এই উদ্যোগ সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি শুরু করেছে স্পেস এক্স। খতিয়ে দেখছে তাদের বহুবার ব্যবহার উপযোগী রকেট ফ্যালকন ৯ একব সিস্টেম ও কম্পোনেন্ট। এরপর নাসার গবেষকরা ফ্যালকন-৯ রকেট ও ক্রু ড্রাগন স্পেসক্রাফটটি চূড়ান্তভাবে পরীক্ষা করে দেখবে। তবে এই অভিযাত্রার তথ্য-উপাত্ত নিয়ে স্বাধীনভাবে গবেষণা করতে পারে নাসা ও স্পেস এক্স।

এ বিষয়ে নাসার কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রাম ম্যানেজার ক্যাথি লুডার বলেন, আমাদের টিম স্পেস এক্সের গ্রাউন্ড অপারেশন পর্যবেক্ষণ করেই তাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি বলেন, এক দিনের মধ্যে এমন একটা অভিযান পরিচালনা করা সহজ বিষয় নয়। তবে স্পেসএক্স তাদের প্রাযুক্তিক জ্ঞান দিয়ে সেটিকে সহজ করে দিয়েছে। অভিযানের খরচ কমাতে ভূমিকা রেখেছে। তারপরও নিরাপত্তার বিষয়টি প্রথমে রেখেই সবকিছুর চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। খুব অল্প ঝুঁকির বিষয়গুলোও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয়েছে।

নাসা বলছে, সবকিছু ঠিক থাকলে নতুন ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে তারা। এক দিনের মধ্যেই মহাকাশচারীদের আইএসএসে পৌঁছে দিয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরবে ফ্যালকন ৯। আর এর মধ্য দিয়ে মহাকাশ যাত্রায় শুরু হবে নতুন এক যুগের।

এর আগে অবশ্য এক ঘোষণায় পরীক্ষামূলক মহাকাশ অভিযানের জন্য তারা ৯ জন মহাকাশচারীর নাম ঘোষণা করেছে। সে সময় নাসার কর্তা জিম ব্রাইডেনস্টাইন জানিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে কমার্শিয়াল অ্যাস্ট্রোনটরা মহাকাশে যাবেন স্পেস এক্স ও বোয়িং স্পেসের পার্টনার ভেহিকেলসে। দুই মহাকাশযানই তৈরি হয়েছে মহাকাশচারীদের আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads