• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
কেমোথেরাপিতে অপরিণত মেনোপজ

ক্যানসারে আক্রান্ত নারীদের কেমোথেরাপি দিলে সময়ের আগেই মেনোপজ আসে

ছবি : ইন্টারনেট

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

কেমোথেরাপিতে অপরিণত মেনোপজ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ক্যানসারের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় কেমোথেরাপি একটি বহুল ব্যবহূত চিকিৎসা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে ক্যানসার আক্রান্ত কোষগুলোকে ধ্বংস করা হয় এবং সেগুলোর বিস্তার থামানো হয়। আসলে ক্যানসার সেলের জন্য কেমোথেরাপি হচ্ছে এক ধরনের বিষ, যাকে সাইটোটক্সিক কেমিক্যাল বলা হয়। কেমোথেরাপির ওষুধ রক্তের মাধ্যমে শরীরে যখন প্রবেশ করানো হয় তখন পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে শুধু ক্যানসার কোষই ধ্বংস হবে এমনটা নয়। এই থেরাপি শরীরের সুস্থ-স্বাভাবিক কোষকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ফলে বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পড়তে পারে শরীরে। আর এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াটা পুরুষের শরীরের তুলনায় নারীর শরীরেই বেশি পড়ে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যানসারে আক্রান্ত নারীদের কেমোথেরাপি দিলে তাদের সময়ের আগেই মেনোপজ আসে। অর্থাৎ তাদের ঋতুচক্র স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুযায়ী গড়ে ৪৫ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে নারীদের মেনোপজ আসে।

নর্থ আমেরিকান মেনোপজ সোসাইটি (নামস) জার্নালে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত এক গবেষণা নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে, ১৯৯৯ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে অপরিণত মেনোপজের শিকার ৫ হাজার নারীর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে তাদের মধ্যে যেসব নারী কোনো না কোনো সময় স্তন, ফুসফুস বা ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন এবং তা থেকে নিস্তার পেতে কেমোথেরাপির আশ্রয় নিয়েছিলেন তাদের অনেকেই অপরিণত মেনোপজের শিকার হয়েছেন।

গবেষণায় দেখা যায়, স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত নারীদের মধ্যে যারা কেমোথেরাপি নিয়েছিলেন তাদের ৮০ শতাংশ নারীর মেনোপজের উপসর্গগুলো দেখা গেছে। আর ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত নারীদের মধ্যে যারা কেমোথেরাপি নিয়েছেন তাদের বিষয়টি এখনো গবেষণাধীন রয়েছে।

মায়ো ক্লিনিক এপিডেমোলজি অ্যান্ড জেনেটিক লাং ক্যানসার রিসার্চ প্রোগ্রামের আওতায় করা গবেষণায় দেখা গেছে, স্তন ক্যানসারের কারণে কেমোথেরাপি নেওয়া ৮৫ জন নারীর মধ্যে ৬৪ শতাংশই এক বছরের মধ্যে মেনোপজের শিকার হয়েছেন। এছাড়া ৯৫ জন নারী যারা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন কিন্তু কেমোথেরাপি না নিয়ে সাধারণ ওষুধ সেবন করেছেন তাদের মধ্যে মাত্র ১৫ শতাংশ নারী জানিয়েছেন যে তারা অপরিণত মেনোপজের শিকার হয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads