• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
২০১৭ সালে দেশে ৩৪ মিলিয়ন মোবাইল আমদানি

‘ড্রাইভিং এ ডিজিটাল বাংলাদেশ থ্রু হাইটেক ম্যানুফ্যাকচারিং’ শীর্ষক প্রতিবেদনের ওপর সংবাদ সম্মেলন

সংগৃহীত ছবি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

আইডিসির গবেষণা

২০১৭ সালে দেশে ৩৪ মিলিয়ন মোবাইল আমদানি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

গত বছর (২০১৭ সালে) বাংলাদেশে ৩৪ মিলিয়ন (৩ কোটি ৪০ লাখ) মোবাইল ফোন আমদানি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পরামর্শক ও গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডেটা করপোরেশন (আইডিসি)। রাজধানীর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সম্মেলন কেন্দ্রে আইডিসি প্রকাশিত ‘ড্রাইভিং এ ডিজিটাল বাংলাদেশ থ্রু হাইটেক ম্যানুফ্যাকচারিং’ শীর্ষক প্রতিবেদনের ওপর সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ইউএস ডলারের মোবাইল বাজার এবং ১৬৫ মিলিয়ন ডলারের ল্যাপটপের বাজার রয়েছে। আর এই বাজার ধরতে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ইতোমধ্যে বিদেশি কিছু প্রতিষ্ঠানও বাংলাদেশে উৎপাদন ও সংযোজনের কারখানা স্থাপন করেছে।

আইডিসির এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের ব্যবসায় সফলতার সুযোগ অনেক বেশি উল্লেখ করে বলা হয়, ইতোমধ্যে দেশীয় কয়েকটি মোবাইল ফোন কোম্পানি মোবাইল সংযোজন কারখানা তৈরি করেছে। যার মধ্যে ওয়ালটন, সিম্ফনি, আমরা কোম্পানিস, স্যামসাং এবং ট্রানশান হোল্ডিংস অন্যতম। এছাড়া মোবাইলের পাশাপাশি ল্যাপটপ সংযোজনের কাজও শুরু করে দিয়েছে ওয়ালটন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শ্রমের সহজলভ্যতা, প্রতিযোগিতামূলক মজুরি কাঠামো, অভ্যন্তরীণ বাজারে হার্ডওয়্যার পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি এবং সহায়ক নীতিমালা থাকায় বাংলাদেশ বিশ্বমানের হার্ডওয়্যার প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। যার কারণ হিসেবে বলা হয়, দেশের মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশেরই বয়স ২৫ বছরের মধ্যে। তরুণ ও শিক্ষিত এই জনসংখ্যা উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। এছাড়া এই সফলতার পেছনে প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যেমন ওয়াল্টন ও স্যামসাংয়ের সফলতা এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রণোদনামূলক নানা সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।

তাই অদূর ভবিষ্যতে উল্লিখিত বিষয়গুলো সম্মিলিতভাবে ক্রিয়াশীল থাকার কারণে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে পারে বলে আভাষ দেওয়া হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

সংবাদ সম্মেলনে বোস্টন কনসালটিং গ্রুপ (বিসিজি) কুয়ালালামপুর অফিসের পার্টনার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জারিফ মুনির বলেন, সরকার প্রণীত হাইটেক পণ্য উৎপাদনে সহায়ক নীতিমালার কারণে ২০১৭ সালে ১১ মিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে বাংলাদেশে। এছাড়া বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডে পরিণত করতে যেসব বাধা রয়েছে, যেসব ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা জরুরি সেসব সম্পর্কে বাংলাদেশের সরকার অবগত আছে বলেও জানান তিনি।

লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স (এলআইসিটি) প্রকল্পের কম্পোনেন্ট টিম লিডার সামি আহমেদের পরিচালনায় এ সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম এবং বোস্টন কনসালটিং গ্রুপের গ্লোবাল চেয়ারম্যান ড. হান্সপল বার্কনার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads