• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
প্লুটো আসলেই গ্রহ

প্লুটোর নিজের একটি কক্ষপথ রয়েছে

ছবি : ইন্টারনেট

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

প্লুটো আসলেই গ্রহ

  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সৌরজগতের গ্রহ কয়টি সে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে কয়েক দশক ধরেই। কোনো কোনো জোতির্বিজ্ঞানীর দাবি- সৌরজগতের গ্রহের সংখ্যা আটটি, আরেক দলের দাবি নয়টি। আরো একদল মনে করে সৌরজগতের গ্রহের সংখ্যা ১০টি। তবে গ্রহের সংজ্ঞা অনুসারের আধুনিক জোতির্বিজ্ঞানীরা বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, নেপচুন ও ইউরেনাসকেই স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাদের মতে- প্লুটো ও এক্স একটি গ্রহ হয়ে ওঠার শর্ত এখনো পূরণ করতে পারেনি। ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার একদল গবেষক সম্প্রতি দাবি করেছেন, প্লুটো একটি গ্রহ। ২০০৬ সালে নতুন করে নির্ধারিত গ্রহের সংজ্ঞা অনুসারেই প্লুটো একটি গ্রহ। কারণ সূর্যকে কেন্দ্র করে তার নিজের একটি কক্ষপথ রয়েছে, তার রয়েছে নিজের দিকে বস্তুকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা বা নিজের অভিকর্ষও।

এ বিষয়ে গবেষক দলের প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়টির গ্রহবিষয়ক গবেষক ফিলিপ ম্যাটগারের দাবি, প্লুটো নিয়ে গবেষণা করতে তার দল গত ২০০ বছরের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছে। তার মধ্যে ১৮০২ সালের এক গবেষণাপত্র তাদের নজর কাড়ে। সেই গবেষণাতেই দেখা যায়, প্লুটোর নিজের একটি কক্ষপথ রয়েছে। তার আছে নির্দিষ্ট ভরও। তার প্রেক্ষিতে নতুন করে পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা শুরু করেন ম্যাটগার ও তার দল। এ গবেষণায় তারা টেনে আনেন ষোড়শ শতকের গবেষকদের বক্তব্যও। সেই সময় গ্যালিলিওসহ আরো বিজ্ঞানীর দাবি ছিল চাঁদ, মঙ্গলের উপগ্রহ ডেমস ও ফোবস, শনির উপগ্রহ টাইটান ও বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপাও একেকটি গ্রহ। কারণ তাদেরও একটি করে কক্ষপথ রয়েছে। তবে পরে জানা যায় তাদের কক্ষপথটি সূর্যকে কেন্দ্র করে নয় বরং সূর্যকে কেন্দ্র করে যে গ্রহটি নিজ কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান তাকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে তারা। এছাড়া তাদের নিজের অভিকর্ষ একটি গ্রহের তুলনায়ও অনেক কম। তাই তাদের গ্রহের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নাম দেওয়া হয় উপগ্রহ। সেই সময়ের বিজ্ঞানীদের মতোই আধুনিক কিছু জোতির্বিজ্ঞানীর দাবি ছিল প্লুটোর নিজের কক্ষপথ থাকলেও তার অভিকর্ষ উপগ্রহের মতোই কম।

তবে নতুন গবেষকদের দাবি, মহাকাশ বিজ্ঞানীদের একটা ঐতিহাসিক ভুলের কারণেই প্লুটোকে গ্রহের স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত করা হয়। কিন্তু আমরা এখন জানি প্লুটোর আছে নিজের কক্ষপথ, আছে অভিকর্ষও। এছাড়া এর তলদেশে রয়েছে সুবিশাল মহাসমুদ্র। সেখানে পাওয়া গেছে জৈব বস্তুও। আছে বায়ুমণ্ডল। গবেষকরা দেখেছেন সেখানে আছে কিছু জলাশয়। আর সবচেয়ে বড় কথা এর আছে একাধিক উপগ্রহও।

ফিলিপ ম্যাটগারের দাবি, প্লুটো এটি মঙ্গলের তুলনায় অনেক বেশি বৈচিত্র্যময় ও জীবন্ত। আর পৃথিবীর পর এরই আছে সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় ভূগোল। এ কারণেই আগের গবেষকরা যাই বলেন না কেন, ফিলিপ ম্যাটগাররা এটিকে পুরোপুরি গ্রহের স্বীকৃতি দিয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads