সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে প্রান্তিক পর্যায়ে জনগোষ্ঠীর কাছে ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি হেল্পলাইন ৯৯৯-এর সেবা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে ‘কমিউনিটি সেফটি অ্যাওয়ার্নেস’ শীর্ষক একটি দুই দিনের কর্মাশালার আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল রোববার ডিএমপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা এবং নিয়ন্ত্রণ ভবনের ৯৯৯-এর কনফারেন্স রুমে ক্রাইম রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। দুই দিনব্যপী এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ৯৯৯-এর কার্যালয়ে কর্তব্যরত পুলিশ সুপার (এসপি) তবারক উল্লাহ।
অনুষ্ঠানে তবারক উল্লাহ বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর কার্যক্রম সম্পর্কে এখনো অনেক মানুষেরই অজানা। তারা জানেই না জরুরি সেবা বলতে কী বলা হচ্ছে বা এখানে ফোন দিয়ে কী সেবা নিতে পারবে। তাই প্রান্তিক পর্যায়ের সেইসব জনগোষ্ঠীর কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে চাই।
তিনি আরো বলেন, আজকের এবং আগামীকালকের এই কর্মশালায় ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেজের অ্যাডমিন, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা আমাদের সারা দেশের মানুষের কাছে ৯৯৯-এর সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পৌঁছে দিতে সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানে ক্রাফের সভাপতি জেনিফার আলম বলেন, বর্তমান সময়ে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেজ থেকে মানুষ প্রতারণাসহ নানাভাবে হ্যারাজমেন্টের শিকার হচ্ছে, যার থেকে প্রতিকার পেতে আপনারা ৯৯৯-এর সেবা গ্রহণ করতে পারেন।
কর্মশালার প্রথম দিনে নারীদের নিয়ে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেজের অ্যাডমিন, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট এবং সাইবার ক্রাইমের শিকার ভুক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রথম দিনের আয়োজনে ৯৯৯-এর বিভিন্ন সেবাসহ সাইবার জগতে সংগঠিত বিভিন্ন অপরাধ এবং এর থেকে প্রতিকারের উপায়, নিজেদের ফেসবুক আইডিসহ অনলাইন আইডিগুলো কীভাবে নিরাপদ রাখতে হবে এবং সাইবার আইন সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করা হয়।
কর্মশালায় আইনি বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন ক্রাফের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার সাইয়েদা ফেরদৌস আহমেদ, টেকনিক্যাল বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন ক্রাফের এক্সিকিউটিভ আইটি এনালিস্ট সিয়াম বিন শওকত এবং ৯৯৯-এর সেবা ও বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন এখানকার প্রশিক্ষক এনএম অনিক খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৯৯৯-এর আইটি বিষয়ক প্রশিক্ষক ইশরাক হাসান নাবিল, ক্রাফের এক্সিকিউটিভ অ্যাডমিন আয়েশা সিদ্দিকাসহ ক্রাফ এবং ৯৯৯-এর অন্য কর্মকর্তারা।
