• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
অ্যান্টার্কটিকা থেকে বিশালাকার আইসবার্গ বিচ্ছিন্ন

মহাদেশটির লারসেন সি আইস অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে

ছবি : ইন্টারনেট

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

অ্যান্টার্কটিকা থেকে বিশালাকার আইসবার্গ বিচ্ছিন্ন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের এক টুকরো (আইসবার্গ) পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়েছে সম্প্রতি। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে  যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড রাজ্যের আয়তনের সমান (৩২ হাজার বর্গকিলোমিটার) এই বরফচাঁইটির এই বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু। প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় পরে চলতি মাসেই মূল মহাদেশ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এ-৬৮ নামের এক লাখ কোটি টন ভরের এই বরফচাঁই।

ইতিহাসের ষষ্ঠ বৃহত্তম এই বরফচাঁইটি মহাদেশটির লারসেন সি আইস অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। বার্মিংহাম ইয়ং ইউনিভার্সিটির গবেষকদের বরাতে ফরচুন অনলাইনের এক খবরে বলা হয়েছে, আইসবার্গটি এখন ধীরে ধীরে সমুদ্রের দিকে আসছে। তবে এই আইসবার্গের কারণে তেমন কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি ওই অঞ্চলে। কারণ সেটি যে অঞ্চলে এখন অবস্থান করছে সেখানে সাধারণত কোনো যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল করে না। এ ছাড়া সেটি ধীরে ধীরে গলে সমুদ্রের পানিতে মিশে যাবে। স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা গেছে, সেটি ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরতে ঘুরতে লারসেন সি আইস সেল্ফ থেকে উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

সমুদ্রবিজ্ঞানী মার্ক ব্র্যান্ডন বলেন, লন্ডন এলাকার চার গুণেরও বেশি বড় এই বরফচাঁইটি পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হতে অনেক সময় নিয়েছে। তবে লাখো কোটি টন ওজনের এই বরফচাঁইটি ইতোমধ্যে গতি অর্জন করেছে। এই গতি যতই কম হোক না কেন ভরবেগের কারণে তা থামানোর মতো প্রাযুক্তিক উপায় আমাদের জানা নেই। তাই সেটিকে এখন আপনা আপনি গলতে দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি মনে করেন, এই কারণে এখনই জানমালের ক্ষতির কোনো আশঙ্কা না থাকলেও অন্য কোনো বরফচাঁই বা অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের কোনো অংশের সঙ্গে সংঘর্ষ হতে পারে সেটির। তার ফলে ওই অঞ্চলে বড় একটা আলোড়ন তৈরি হবে। আর সেটি আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ঘটবে বলে মনে করেন তিনি।

তবে গবেষকরা এখনো নিশ্চিত নন ঠিক কী কারণে এটি বিচ্ছিন্ন হয়েছে। কারো ধারণা শক্তিশালী বায়ুপ্রবাহের কারণে সেটি বিচ্ছিন্ন হয়েছে। আবার কেউ মনে করেন হয় ৫৮০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই বরফচাঁইটি স্রোতের কারণে এমনটি হয়েছে। আবার কারো সন্দেহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই এমনটি হয়েছে। ঘটনাটি যে কারণেই ঘটুক সেটি পৃথিবীর জন্য কোনো মঙ্গলজনক বার্তা নয়। এই অবস্থায় ওই অঞ্চলে তেল-গ্যাস বা খনিজ অনুসন্ধানের জন্য যেসব অভিযান জারি আছে সেগুলোকেও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। অনেকে মনে করছে সেখানে ড্রিলিং হচ্ছে তারও একটা প্রভাব থাকতে পারে এই ষষ্ঠ বৃহত্তম বরফচাঁইয়ের বিচ্যুতিতে। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads