• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
টিন আর গম চুরি করব না

কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনক চাঁপা

সংগৃহীত ছবি

শোবিজ

টিন আর গম চুরি করব না

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৫ নভেম্বর ২০১৮

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনক চাঁপা। নির্বাচন করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। কনক চাঁপার রাজনীতিতে আসার কারণে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বিভিন্ন মহলে। ভক্তদের অনেকেই জানতে চেয়েছেন— কেন রাজনীতিতে কনক চাঁপা?

বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি নিজেই। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টের মাধ্যমে এসব প্রশ্নের উত্তর জানিয়েছেন জনপ্রিয় এ কণ্ঠশিল্পী। তিনি লিখেছেন, ‘বন্ধুরা, আমার ভালোবাসা নিও। (তোমরা আমার পরিবারের মতো হয়ে গেছো, আমার জীবন তোমাদের সামনে খোলা বইয়ের মতোই। আমার সব সুখদুঃখ তোমাদের বলি অকপটে। আজো তাই কিছু কথা বলি। এরপরও কিছু জানার থাকলে বল, আমি উত্তর দেব) ছোটবেলা থেকেই আমি আমার মাকে সমাজসেবায় নিয়োজিত থাকতে দেখেছি। তার মানবসেবা দেখে দেখে বড় হয়েছি। দুই মুঠো ভাত থেকেও যে আরেকজনকে সহায়তা করা যায় নীরবে তা দেখে বিস্মিত হয়েছি। মানুষের প্রতি ভালোবাসা, পশুর প্রতি ভালোবাসা, অসহায়ের পক্ষে কথা বলা- এগুলো আমার মায়ের বাড়াবাড়ি রকমের অভ্যাস। তার আদর্শেই বড় হব খুব স্বাভাবিক।

পেশাদার শিল্পী হওয়া থেকে এখন পর্যন্ত অসহায়দের পাশে আছেন কনক চাঁপা। জানিয়ে তিনি আরো লেখেন, সমাজের সব অসঙ্গতির বিরুদ্ধে আমার কঠোর অবস্থান। একজন সফল শিল্পী হয়েও আমি কখনই আমার বিত্তকে মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্তে পরিবর্তন করিনি। এ কথা আমার সঙ্গে যারা চলাফেরা করেন তারা সবাই একবাক্যে বলবেন। আমার মানসিক শক্তি, শারীরিক শক্তি সবই বর্তমান। আমি একজন সাহসী মানুষ বটে। আর মানুষের পাশে বৃহৎ আকারে দাঁড়াতে বড় একটা প্ল্যাটফর্ম দরকার। আমার অর্থনৈতিক শক্তি দরকার কিন্তু সে অর্থ আমার জন্য না। দুই মুঠ ডালভাত খাওয়ার জন্য, বাকি সারা জীবনের অর্থকড়ি আলহামদুলিল্লাহ আমার আছে এবং আমাকে যারা অপছন্দ করে তারাও জানে কনক চাঁপা আর যাই হোক টিন আর গম চুরি করবে না ইনশাআল্লাহ। আমি একজন সৎমানুষও বটে। এ আমার অহংকার নয়। অহংকার একমাত্র আল্লাহর পোশাক। আমার সততা আমার গর্ব।’

লম্বা স্ট্যাটাসে তিনি আরো লিখেছেন, আমি আমার গ্রাম কাজীপুরের মানুষের পাশে গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়াতে চাই। তারা অনেক দিন ধরে নির্যাতিত এ কথা সবাই জানে। সেখানে আমার আরাম-আয়েশের জীবন ছেড়ে গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়ানো ছাড়া আর কোনো পথ আমার ছিল কি? আমার যে আসন তাতে যে যুদ্ধ হবে তাতে আমি অপঘাতে মরেও যেতে পারি, সে আশঙ্কাও আমার আছে। থাকুক আমি সেসব পরোয়া করি না। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করিনি সেই আফসোস থেকেই আমি দেশের জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করতে চাই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads