• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
 যুবকরা আফরান নিশো হতে চাইবেন

আফরান নিশো

ছবি : ইন্টারনেট

শোবিজ

যুবকরা আফরান নিশো হতে চাইবেন

  • প্রকাশিত ২০ ডিসেম্বর ২০১৮

রাফিউজ্জামান রাফি

কখনো তিনি চোর, কখনো তিনি ডাকাত সর্দার, কখনোবা গ্যাং লিডারের সাগরেদ, আবার কখনো তিনি ভবঘুরে বোহেমিয়ান, কখনোবা বোকা সোকা সহজ সরল কিংবা কখনোবা চকলেট বয় অথবা রাফ অ্যান্ড টাফ কোনো যুবক। কখনো বড় চুল দাড়ি, কখনো খোঁচা খোঁচা করে ছেটে রাখা দাড়ি আবার কখনো দাড়ি গোঁফ কামানো ক্লিন শেভ তার। একেক সময় একেক চেহারা ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তার। তাকে দেখে অবাক হই, ভাবি একই চেহারায় এত রূপ কীভাবে বহন করেন তিনি। প্রতিটি নাটকে প্রতিনিয়ত নিজেকে ভেঙে চুরে উপস্থাপন করছেন। কীভাবে পারেন তিনি এতসব মেইনটেইন করতে? পরক্ষণেই মনে হয় তাকে তো এটা পারতেই হবে, কেন না তিনি যে হুমায়ুন ফরীদি হতে চান। বলছিলাম অভিনেতা আফরান নিশোর কথা। যিনি বাংলা সাংস্কৃতির কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি হতে চান। নিশো হুমায়ুন ফরীদি হতে পারবেন কি না জানি না, তবে তবে আজ থেকে অনেক দিন পর অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে অভিনয় করতে আসা যুবকরা যে আফরান নিশো হতে চাইবেন এটা নিশ্চিত।

এর মধ্যেই তিনি স্বীয় অভিনয় প্রতিভার গুণে জায়গা করে নিয়েছেন অসংখ্য নাটকপ্রেমী মানুষের মনে। তার সমসাময়িক অভিনেতারা যখন একটা গণ্ডিতে ঘুরপাক খাচ্ছেন, নিজের তৈরি ইমেজ ভেঙে বেরিয়ে আসতে পারছেন না। নিশো সেখানে একদমই উল্টো। অথচ চাইলেই কিন্তু চকলেট বয় ইমেজে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারতেন। পারতেন নারী হূদয়ে ইলিক বিলিক বলোক তুলতে। আর তার জন্য প্রয়োজনীয় চেহারা, উচ্চতা, হিরোইজম, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ সবই তার ছিল। কিন্তু তা তিনি করেননি। বরং তিনি মুক্ত পাখি হয়ে একেক সময় একেক গাছের একেক ডালে বসে, একেক সুরে গাইছেন। আর এ গুণের কারণেই সমসাময়িক সবাইকে সাইড করে নিজের আসন নিজে তৈরি করে নিয়েছেন। জয় করেছেন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের হূদয়।

অভিনয়ের ক্ষেত্রে নিশো যেন একদম কাদামাটি। যখন যে চরিত্রে তাকে দাঁড় করানো হচ্ছে, তখন সেই চরিত্রেরই আকার ধারণ করছেন তিনি, সেই চরিত্রেই মিশে যাচ্ছেন তিনি। নিশোর পূর্বে আশ্চর্য অভিনয় গুণের অধিকারী মোশাররফ করিমের মাঝেও এমন ব্যাপার ছিল এবং এখনো তা আছে। মোশাররফ করিম তখন একচেটিয়া কাজ করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আশ্চর্য অভিনয় গুণ থাকা সত্ত্বেও খেই হারিয়ে, হারিয়ে যেতে বসেছেন আজ তিনি। কেননা স্রোতের জোয়ারে গা ভাসিয়ে এমন এক স্থানে এসে তিনি পৌঁছেছেন যে শেষমেশ কমেডিয়ান ট্যাগ খেয়ে গিয়েছেন। ভাঁড়ামো পূর্ণ গল্পের হাত ধরে উতরে যাওয়া নির্মতারা তো তাকে বিশেষ ভাড় বানিয়ে ফেলেছেন আর ফলে মোশাররফ করিমও দর্শকদের নিকট অভিনেতা থেকে হয়ে গিয়েছেন হাসির পাত্র। সচেতন নিশো কিন্তু সে পথে হাঁটেননি। অভিনয়ের সকল শাখায় দুর্দান্ত গতিতে বিচরণ করলেও স্রোতের জোয়ারে গা ভাসাননি তিনি। কমেডি অভিনয়ও করেছেন, মানুষও হাসিয়েছেন কিন্তু হাসির পাত্র হননি। নিশোকে দেখে মনে হয় অভিনয়টা যেন একদম ভেতর থেকে আনেন তিনি। আর তাই তো বৃদ্ধ স্কুলশিক্ষক থেকে শুরু করে আন্ডার গার্মেন্ট বিক্রেতা ব্রাদার সকল চরিত্রেই অবলীলায় নিজের দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন ট্যাটুবয় আফরান নিশো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads