• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
টাকার অভাবে মরদেহ পড়েছিল ব্যাংককে

ছবি : সংগৃহীত

শোবিজ

টাকার অভাবে মরদেহ পড়েছিল ব্যাংককে

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২১ ডিসেম্বর ২০১৮

বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আমজাদ হোসেন মারা যান গত ১৪ ডিসেম্বর। ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালের প্রশাসনিক আনুষ্ঠানিকতাও শেষ হয়েছে দুদিনের মধ্যেই। কিন্তু মরদেহ দেশে ফেরেনি গতকাল পর্যন্ত। মরদেহ কেন দেশে ফিরছে না, সে প্রশ্নেরও সঠিক উত্তর কেউ দিতে পারেনি। আমজাদ হোসেনের ছেলে সোহেল আরমান ব্যাংকক থেকে দেশের গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, হাসপাতালের প্রশাসনিক কাজ-কর্মে মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে বিলম্ব হচ্ছে। কিন্তু শেষে জানা গেল মূল জটিলতা ওখানে নয়। আসলে টাকার অভাবে মরদেহ পড়ে ছিল ব্যাংককে।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পাওয়া ৪২ লাখ টাকার অনুদানের বাইরে আমজাদ হোসেনের চিকিৎসা বাবদ খরচ হয় আরো ৬১ লাখ টাকা। এই অবশিষ্ট অর্থের জোগাড় এতদিন হয়নি বলেই মরদেহ দেশে আনতে পারছিলেন না স্বজনরা। অবশেষে সেই অর্থের জোগাড় হয়েছে বলে জানা গেছে। চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগরের উদ্যোগে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এই অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, বিল পরিশোধের পর আজ শুক্রবার আমজাদ হোসেনের মরদেহ দেশে আনা হবে।

জানা যায়, আমজাদ হোসেনের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চ্যানেল আই কার্যালয়ে এক জরুরি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, নাট্যজন মামুনুর রশীদ, পরিচালক এসএ হক অলীক, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম খোকন ও আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল।

গতকাল ফরিদুর রেজা সাগর জানান, ‘এখন আর টাকা-পয়সা নিয়ে চিন্তা নেই। তা ছাড়া বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে, তারা আমজাদ হোসেনের মরদেহ বিনা খরচে দেশে নিয়ে আসবে।’

ঢাকার পর ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে টানা ১৬ দিন চিকিৎসার পর গত শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৭ মিনিটে মারা যান কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার, অভিনয়শিল্পী ও লেখক আমজাদ হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরেণ্য পরিচালক আমজাদ হোসেনকে ২৭ নভেম্বর রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সে সময় আমজাদ হোসেনের পরিবারের হাতে প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার খরচ বাবদ ৪২ লাখ (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ২২ লাখ ও চিকিৎসায় ২০) লাখ টাকা অনুদান দেন। সোহেল আরমানের তথ্যমতে, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অনুদানের বাইরেও ১৬ দিনে তার বাবার চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়েছে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬১ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads