• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
গেল বছর অপ্রাপ্তি তেমন নেই

ছবি : সংগৃহীত

শোবিজ

গেল বছর অপ্রাপ্তি তেমন নেই

  • আল কাছির
  • প্রকাশিত ০৬ জানুয়ারি ২০১৯

রোদেলা জান্নাত। ২০১৮ সালে ঢালিউডে নাম লিখিয়েছেন। শামীম আহমেদ রনী পরিচালিত ‘শাহেনশাহ’ ছবিতে সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে দেখা যাবে তাকে। চলতি বছর ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পেতে পারে ছবিটি। নতুন বছরের পরিকল্পনা ও বিভিন্ন বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন আল কাছির-

২০১৯ সালের পরিকল্পনা—

আপাতত ‘শাহেনশাহ’ ছবির সম্পূর্ণ কাজ ঠিকঠাক মতো শেষ করার পরিকল্পনা। কারণ এ বছর ভালোবাসা দিবসে ছবিটি মুক্তি পেতে পারে। ছবির গান এবং ডাবিং বাকি আছে। তারপরই কাজ শেষ। এ ছবির কাজ শেষ করেই মালয়েশিয়া চলে যাব। আমার থিসিস এবং একাডেমিক অনেকগুলো কাজ জমে আছে। ইউনিভার্সিটি থেকে বার বার মেইল করছে, দ্রুত একাডেমিক কাজ সেরে ফেলার জন্য। তাই ছবির কাজ শেষ করেই চলে যাব মালয়েশিয়া। একাডেমিক কাজ শেষ করে আবার মিডিয়ার কাজ নিয়ে ভাবব। ২০১৯ সালে বুঝে শুনে কাজ করব।

 

২০১৮ সালের মূল্যায়ন—

আলহামদুলিল্লাহ। ২০১৮ সালে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। প্রথমত, আমার একাডেমিক রেজাল্ট খুব ভালো ছিল। দ্বিতীয়ত, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আমার নামটি যুক্ত হয়েছে। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। আমি ফিল্ম করব বা রোদেলা জান্নাত নামটি ফিল্মের সঙ্গে যুক্ত হবে তা আমি এর আগে ভাবিনি। কিন্তু ২০১৮ সালে এটাই হয়েছে। ২০১৮ সাল আমাকে নতুন একটা অধ্যায় এনে দিয়েছে। গেল বছর অপ্রাপ্তি তেমন কিছু নেই। প্রাপ্তির পাল্লাটাই ভারী।

 

‘শাহেনশাহ’ ছবির অভিজ্ঞতা—

সবার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা ভালো। প্রথম ছবিতেই শাকিব খান স্যারের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছি। উনার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও দারুণ। খুব ভালো সাপোর্ট করেছেন উনি আমাকে। আমি শাকিব খান স্যারকে আমার গুরু মনে করি। ছবির পরিচালক, ডিওপি, মেকাপ আর্টিস্ট থেকে শুরু করে প্রডাকশন বয় পর্যন্ত সবাই আমাকে খুব সহযোগিতা করেছে। নতুন হিসেবে সবাই আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছে।

 

নতুন কাজের খবর—

বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কাজের আলাপ হচ্ছে। ঈদের নতুন ছবির ব্যাপারেও অনেকে নক করেছেন।  কিন্তু আমি ‘শাহেনশাহ’ ছবি শেষ করে একাডেমিক কাজগুলো আগে সারব। তারপর নতুন ছবি নিয়ে ভাবব। একাডেমিক দিক থেকে আমি অনেক পিছিয়ে গেছি। সেটা ওভারকাম করতে হবে। দোয়া করবেন আমার জন্য যেন ভালোভাবে কাজগুলো গুছিয়ে নিতে পারি।

 

সরকারের কাছে আপনার প্রত্যাশা—

আরো উন্নত, পরিণত বাংলাদেশ আমি চাই। আর যতটা সম্ভব ঢাকা শহরের ট্রাফিক জ্যাম কমিয়ে আনবে। কারণ, আমাদের সকলের জীবনের সময়ের মূল্য অনেক বেশি। কিন্তু ঢাকার রাস্তায় আমাদের অনেক সময় অপচয় হয়। তাই সরকারের কাছে আমার বিশেষ প্রত্যাশা থাকবে ঢাকা শহরের যানজট যতটা সম্ভব কমিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করবে। সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা থাকবে চিত্রনায়ক ফারুক ভাইয়ের কাছে। উনি চলচ্চিত্রের মানুষ, ফিল্মপাড়া থেকে এমপি হয়েছেন। আমার বিশ্বাস, আমাদের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে উনি বেশি করে কাজ করবেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads