• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
১৫ বছরে সিসিমপুর

ছবি : সংগৃহীত

শোবিজ

১৫ বছরে সিসিমপুর

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ এপ্রিল ২০১৯

হালুম, টুকটুকি, ইকরি কিংবা শিকু- আমাদের দেশের শিশুদের কাছে নামগুলো অতি পরিচিত এবং অতি প্রিয়। দেশের শিশুদের শেখাকে আনন্দদায়ক ও উপভোগ্য করার লক্ষ্য নিয়ে ‘সিসিমপুর’ নামে যে টেলিভিশন অনুষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে, তা ১৪ পেরিয়ে পা রাখল ১৫তম বছরে।

চৌদ্দ বছর ধরে শিশুতোষ এই অনুষ্ঠানটি নির্মিত হচ্ছে ৩ থেকে ৮ বছর বয়সী শিশুর প্রারম্ভিক শিক্ষার চাহিদা পূরণের জন্য। সেই সঙ্গে তার লক্ষ্য শিশুর পিতা-মাতা, যত্নকারী এবং শিক্ষকরাও। আনন্দ আর খেলার ছলে সিসিমপুর ভূমিকা রেখে চলেছে শিশুর সামগ্রিক বিকাশে। ভাষা-বর্ণ; গণিত; পরিবেশ; জেন্ডার সমতা; সামাজিক মূল্যবোধ ও আচার-আচরণ; ভিন্নতা ও বৈচিত্র্যের প্রতি সহনশীলতা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে শেখায় সিসিমপুরের পাঠক্রম। আছে সুষম ও পুষ্টিকর খাবার; স্বাস্থ্যকর অভ্যাসচর্চা; ভূমিকম্প; রাস্তা পারাপার ও পানিডুবি-বিষয়ক নিরাপত্তা; বিভিন্ন আঘাত প্রতিরোধে সচেতনতা; শিশুদের জমা-খরচ ও সঞ্চয় সম্পর্কে ধারণা দেওয়া এবং বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসহ অনেক কিছু।

সিসিমপুর প্রচারের বর্তমানে একাদশ সিজন চলছে। তৈরি হচ্ছে ত্রয়োদশ সিজন। শুরু থেকে প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে সারা দেশের প্রায় ১ কোটি দর্শক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করছেন। এছাড়া বিভিন্ন স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে। বর্তমানে জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানটি আরটিভি ও বিটিভিতে প্রচারিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকার এবং ইউএসএআইডি বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সহযোগিতায় ২০১০ সাল থেকে ‘সিসিমপুর আউটরিচ প্রকল্প’টি দেশের ৬৪টি জেলায় ৩৩৪০টি স্কুলে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়া সিসিমপুর প্রতিনিয়ত নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রচারণা ও সচেতনতা বাড়াতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ তার সব কার্যক্রমই সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে যৌথভাবে পরিচালনা করে থাকে। অনুষ্ঠানটির সহযোগী প্রযোজক হিসেবে শুরু থেকে এ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছে এশিয়াটিক মার্কেটিং কমিউনিকেশন লিমিটেড।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads