• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
পরিচালক মীর সাব্বির পেলেন সরকারি অনুদান

ছবি : সংগৃহীত

শোবিজ

পরিচালক মীর সাব্বির পেলেন সরকারি অনুদান

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৭ এপ্রিল ২০১৯

অবশেষে সিনেমা নির্মাণের স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে জনপ্রিয় অভিনেতা ও নাট্যনির্দেশক মীর সাব্বিরের। তার সিনেমা নির্মাণের স্বপ্নপূরণে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ সরকার। গেল বুধবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধমে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে একটি সিনেমা নির্মাণের সুযোগ পেলেন মীর সাব্বির। সরকারি অনুদানে আগামী আগস্ট থেকে মীর সাব্বির নির্মাণ করতে যাচ্ছেন তার স্বপ্নের সিনেমা ‘রাত জাগা ফুল’।

সিনেমাটির কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য করেছেন মীর সাব্বির নিজেই। মীর সাব্বির জানান, প্রায় পাঁচ বছর ধরে তিনি এই সিনেমার গল্প নিয়ে ভেবেছেন। অবশেষে সেই গল্প তারই হাত দিয়ে সিনেমায় রূপান্তরিত হয়ে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত হয়ে দর্শকের কাছে তুলে ধরতে যাচ্ছেন মীর সাব্বির। মীর সাব্বিরের সমসাময়িক কালের অনেক জনপ্রিয় অভিনেতার মধ্যে মীর সাব্বিরই প্রথম সরকারি অনুদানে সিনেমা নির্মাণের সুযোগ পেলেন। তাই এ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত, আনন্দিত মীর সাব্বির।

মীর সাব্বির বলেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া। আমার বাবা মায়ের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আমার স্ত্রী চুমকি, আমার পরিবার সব সময়ই আমার পাশে থেকে আমার প্রতিটি কাজে উৎসাহ দিয়েছে বলেই আমি নির্দ্বিধায়, রিল্যাক্স মুডে কাজ করে যেতে পেরেছি। আমি কৃতজ্ঞ বাংলাদেশ সরকারের কাছে, তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আমাকে সরকারি অনুদানে আমার মনের মতো একটি সিনেমা নির্মাণের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। সত্যিই এটা আমার অনেক বড় সৌভাগ্য যে আমার নির্মিত প্রথম সিনেমাই হতে যাচ্ছে সরকারি অনুদানে। আমি আমার ভালোবাসার ভক্ত দর্শক এবং বাংলা ভাষাভাষী সিনেমাপ্রেমী দর্শকের জন্য রাত জাগা ফুল যথাযথভাবে নির্মাণ করে তুলে দিতে চাই। আমার বিশ্বাস, এই সিনেমা নির্মাণে আমি প্রত্যেকের সহযোগিতা পাব।’

মীর সাব্বির জানান, সিনেমায় কারা অভিনয় করবেন, সে ব্যাপারে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে সিনেমার গল্পের শুরুটা যে রইসকে নিয়ে শুরু হয় সেই চরিত্রে তিনি অভিনয় করবেন। এই রইস পশুপাখির ভাষা বুঝতে পারে। যে গ্রামে রইস থাকে সেই গ্রামে সবার অলক্ষ্যে একদিন একটি খুন হয়। সেই খুন সম্পর্কে পশুর মাধ্যমেই রইস জেনে যায়। এগিয়ে যায় আরো নানা বাঁকে গল্প। মীর সাব্বির অভিনীত প্রথম নাটক ছিল বিটিভিতে প্রচারিত পুত্র। ২০০২ সালে অনন্ত হীরা পরিচালিত ‘বিষ কাঁটা’ নাটকে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন তিনি। এখন পর্যন্ত মীর সাব্বির ৬০টিরও বেশি খণ্ড নাটক, টেলিফিল্ম এবং তিনটি ধারাবাহিক নাটক ‘মকবুল’, ‘নোয়াশাল’, ‘মালেক হতে সাবধান’ নির্মাণ করেছেন। মীর সাব্বির চন্দন রায় চৌধুরীর নির্দেশনায় ‘কী জাদু করিলা’ সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন পপির বিপরীতে।

 

বিন্দু কণার নতুন ফোক গান

 

অভি মঈনুদ্দীন

এই সময়ের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী বিন্দু কণা তার নতুন মৌলিক ফোক গান শ্রোতা দর্শককে উপহার দেওয়ার জন্য এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। বিন্দু কণার নতুন ফোক গানটি হচ্ছে ‘মনের সুখে আমার মুখে’। গানটি লিখেছেন নতুন গীতিকবি সৈয়দ দুলাল এবং সুর সঙ্গীতায়োজন করেছেন ইবরার টিপু। গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন সৌমিত্র ঘোষ ইমন।

নিজের নতুন ফোক গান নিয়ে বিন্দু কণা বলেন, ‘সত্যি বলতে কি আমার তো ফোক গান গাইতেই বেশি ভালো লাগে। যে কারণে এ গানটি গাওয়ার সময়ও নিজের মধ্যে ভীষণ ভালোলাগা কাজ করছিল। গানটির কথা এবং সুর সঙ্গীত আমার কাছে ভালো লেগেছে। আমি খুবই আশাবাদী যে এ গানটিও শ্রোতা দর্শকের ভালো লাগবে।’

বিন্দু কণা জানান, তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল ‘ওর্ণি রেকর্ডস’-এ গানটি প্রকাশ পাবে। এদিকে গতকাল বিন্দু কণা বাংলাভিশনের একটি রমজানের শো’র রেকর্ডিং-এর কাজে অংশ নিয়েছেন। সেখানে রেকর্ডিং শেষেই তিনি গাজীপুর কোনাবাড়িতে একটি স্টেজ শোতে অংশ নেন।

আগামী ২৮ এপ্রিল বিন্দু কণা পাবনাতে এবং ১ মে বরিশালে একটি স্টেজ শোতে পারফর্ম করবেন। বিন্দু কণার গানের গুরু ওস্তাদ আবুল কালাম আজাদ। তার কাছেই বেশ কিছুদিন গানের তালিম নিয়েছেন। আবুল কালাম আজাদ মান্নান বয়াতীর চাচা। ‘ওর্ণি রেকর্ডস’-এ প্রথম গান হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে ইবরার টিপু ও বিন্দু কণার দ্বৈত সঙ্গীত ‘এত কাছে এসেছি’ গানটি। এ গানটির সুর সঙ্গীত করেছেন ইবরার টিপু। লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন। প্রকাশিত হয়েছে মোবাশ্বেরের লেখা ও ইবরার টিপুর সুর সঙ্গীতে বিন্দু কণার একক গান ‘পোষা পাখি পোষ মানে না’ গানটিও। দুটি গানই শ্রোতা দর্শক বেশ পছন্দ করেছেন।  ‘ওর্ণি রেকর্ডস’র স্লোগান হচ্ছে ‘সাউন্ড অব লাইফ’। সর্বশেষ তিনি আনজাম মাসুদের ‘পরিবর্তন’ অনুষ্ঠানেও সঙ্গীত পরিবেশন করেন। বিন্দু কণার গাওয়া গানটি লিখেছেন আনজাম মাসুদ এবং সুর সঙ্গীত করেছেন আরিফ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads