• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
লন্ডনে সম্মাননা পেলেন মৌ

সাদিয়া ইসলাম মৌ

ছবি : সংগৃহীত

শোবিজ

লন্ডনে সম্মাননা পেলেন মৌ

  • প্রকাশিত ০৬ মে ২০১৯

আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসবে অংশ নিয়ে দেশে ফিরেছেন দেশের প্রখ্যাত মডেল, অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ। গেল ২৮ এপ্রিল ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে, এ জীবন ধন্য করো, ধন্য করো দহন দানে’ এ রবীন্দ্রসঙ্গীত দিয়ে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পূর্ব লন্ডনের রিচমিক্স সেন্টারে শুরু হয় দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসবের প্রথম দিন। অনুষ্ঠানের শুরুতে একুশ পদকপ্রাপ্ত বাংলাদেশের প্রয়াত নৃত্যগুরু রাহিজা খানম ঝুনুর স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তার  প্রতিকৃতি উন্মোচন করা হয়।

আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসবের দ্বিতীয় দিনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তিন কন্যা শ্যামা, চণ্ডালিকা ও চিত্রাঙ্গদা অবলম্বনে নৃত্যনাট্য পরিবেশন করেন সাদিয়া ইসলাম মৌ, তান্না খান, ফারজানা চৌধুরী বেবি, আমিরুল মনি, রোজমেরি মিতু রিবেইরো, সোহেল আহমেদ ও সোনিয়া সুলতানা। অপূর্ব মুগ্ধতার আবেশ ছড়িয়ে পড়েছিল মিলনায়তন ভর্তি দর্শকের মধ্যে। সুরের ঝঙ্কারে, নৃত্যের তালে তালে খ্যাতিমান নৃত্যশিল্পীদের অনিন্দ্যসুন্দর নৃত্যশৈলী উপভোগের মাধ্যমে এক স্মৃতিময় একটি সন্ধ্যা উপহার পেল লন্ডনের বাঙালি সংস্কৃতিপ্রেমীরা।

দুই দিনব্যাপী এ নৃত্য উৎসবের গ্রন্থনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় ছিলেন কবি ও নাট্য পরিচালক টিএম আহমেদ কায়সার। আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসবে যোগদানের জন্য নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ, ফারহানা খান তান্না, ফারহানা চৌধুরী বেবিকে গত ৩০ এপ্রিল লিডস সিটি কাউন্সিল এবং সাদিয়া ইসলাম মৌকে গত ১ মে বার্কিং অ্যান্ড ড্যাগেনহাম কাউন্সিল নাগরিক সংবর্ধনা দেয়। আনন্দঘন পরিবেশে লন্ডন বারা অব বার্কিং অ্যান্ড ড্যাগেনহাম কাউন্সিলের সংবর্ধনায় মৌয়ের  হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মেয়র কাউন্সিলর সনচিয়া এলেসিয়া ও কাউন্সিলর ফয়জুর রহমান। সাদিয়া ইসলাম মৌ এরই মধ্যে দেশে ফিরেছেন।

পরপর দুটি অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত হওয়া প্রসঙ্গে মৌ বলেন, ‘এটা আমার জন্য সত্যিই অনেক আনন্দের বিষয়। কারণ পরপর দুটি অনুষ্ঠানে লন্ডনে আমাকে সংবর্ধিত করা হয়েছে। দেশের বাইরে নৃত্যের জন্য এই সম্মাননা অর্জন অনেক সাফল্যের, আনন্দের। যারা আমাকে এই সম্মাননায় ভূষিত করেছেন তাদের প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। যারা অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন তাদের প্রতিও আমার আন্তরিক ধন্যবাদ। সত্যি বলতে কী, দেশের বাইরে গেলে খুব সহজে অনুমেয় হয় যারা দেশের বাইরে আছেন তারা মনের মধ্যে দেশকে কীভাবে লালন করেন। তাই যারা দেশের বাইরে থেকেও এই ধরনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে প্রতিনিয়ত তুলে ধরার চেষ্টা করছেন তাদের সাধুবাদ জানাই।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads