• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
গরবিনি মা সম্মাননা পাচ্ছেন নিশো’র মা

ছবি : সংগৃহীত

শোবিজ

গরবিনি মা সম্মাননা পাচ্ছেন নিশো’র মা

  • অভি মঈনুদ্দীন
  • প্রকাশিত ০৯ মে ২০১৯

এই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশোর মা আঞ্জুমান আরা তার ছেলের সাফল্যে ২০১৯ সালের আন্তর্জাতিক মা দিবসে আগামী ১২ মে ‘গরবিনি মা সম্মাননা’য় ভূষিত হতে যাচ্ছেন। রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তীর উদ্যোগে আয়োজিত ‘গরবিনি মা সম্মাননা’ প্রদান অনুষ্ঠানে আফরান নিশোর মায়ের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হবে। এবারের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। আগামী ১২ মে বেলা ১১টায় রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টার হল-২’তে এই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্ত্তী। নিজের মায়ের এমন সম্মাননা প্রাপ্তিতে আফরান নিশো বলেন, ‘আম্মু যখন এই খবরটি প্রথম আমার মুখে শুনলেন তখন তিনি ভীষণ গর্ব অনুভব করেন। আমিও ভীষণ গর্ববোধ করছি এ কারণেই যে সন্তান হিসেবে আমি কিছুটা হলেও দায়িত্বশীল হতে পেরেছি। আম্মু যে আমাকে তার গর্ভে ধারণ করেছেন, তার সার্থকতা ধরে রাখতে পেরেছি। আমরা প্রতিনিয়ত পথ চলতে গিয়ে মাকে কখনো বলা হয়ে ওঠে না মাকে যে কতটা ভালোবাসি। এই গরবিনি মা সম্মাননার মধ্য দিয়েই আমার এই ভালোবাসার প্রকাশ ঘটছে। ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী দাদা এবং অভি মঈনুদ্দীন ভাইয়ের কাছে কৃতজ্ঞ যে তাদের সমন্বিত সিদ্ধান্তে  আমার মাকে গরবিনি মা সম্মাননায় ভূষিত করা হচ্ছে। আমার পুরো পরিবারই দারুণ খুশি। মায়ের এই সম্মাননা অর্জন আমার কাছে মনে হচ্ছে নেপথ্যে আমার বাবার হাতেও যাচ্ছে।’

তার আসল নাম আহাম্মেদ ফজলে রাব্বী (আফরান নিশো)। জন্মস্থান টাঙ্গাইল। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ এবং মা আঞ্জুমান আরা। ২০০০ সালে নিশোর এক বন্ধুপ্রতিম বড় ভাই রুম্মানের বড় বোন শাম্মীর হাত ধরেই মিডিয়াতে তার অভিষেক। প্রয়াত বরেণ্য ডিজাইনার শাহরুখ শহীদ তাকে মডেল হিসেবে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন। ২০০৩ সালে অমিতাভ রেজার নির্দেশনায় একটি ট্যালকম পাউডারের বিজ্ঞাপনে প্রথম মডেল হন তিনি। ২০০৬ সালে গাজী রাকায়েতের নির্দেশনায় ‘ঘর ছাড়া’ ধারাবাহিক নাটকে প্রথম অভিনয় করেন। একই নাটকে অপূর্ব, তানিয়া হোসেইনও অভিনয় করেছিলেন। এটি ছিল ধারাবাহিক নাটক। একক প্রথম নাটক ছিল আবিদ মল্লিক পরিচালিক ‘কায়াকর’। আফরান নিশো অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সুমন আনোয়ারের ‘ফুলমতি’, ‘গুলবাহার’, ‘বাদাবন’, ‘কমলা সুন্দরী’, ‘মেম সাহেব’, ইমরাউল রাফাতের ‘আলো আঁধারে’, মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘বুকের বাঁঁ পাশে’, ‘শোক হোক শক্তি’, ‘ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প’, মাবরুর রশীদ বান্নাহ’র ‘লালাই’, ‘হোম টিউটর’, হাবিব শাকিলের ‘সায়েন্সের ছেলে আর্টসের মেয়ে’, মাহমুদ দিদারের ‘স্বৈরাচার’, ‘মেট্রোপলিটন প্রেম’, ‘পাপারাজি’ ইত্যাদি। এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ শতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন। অভিনয়ে আফরান নিশোর আদর্শ প্রয়াত গুণী অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদি। প্রিয় অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজমুদার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads