• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
কৃষকের ঈদ আনন্দে

ছবি : সংগৃহীত

শোবিজ

কৃষকের ঈদ আনন্দে

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৭ মে ২০১৯

একটা সময় ছিল যখন টেলিভিশনে ঈদ অনুষ্ঠান মানেই শহুরে মানুষের হাসিকান্নার গল্প। ছিল তারকা শিল্পীদের অংশগ্রহণে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষকে বিনোদিত করার চেষ্টা। সেসব ঈদ আয়োজনে ঠিক কোথায় সেই গ্রামের কৃষকটি, যার শ্রমে ঘামে উৎপাদিত ফসলে নিবারিত হয় মানুষের ক্ষুধা? তাকেও যুক্ত করতে হবে এই আনন্দধারায়। সে চিন্তা থেকে কৃষকের সামনে মাইক্রোফোন আর ক্যামেরা ধরে রাখা টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা শাইখ সিরাজ সিদ্ধান্ত নেন নিজেই বানাবেন কৃষক ও গ্রামীণ মানুষের জন্য তাদের অংশগ্রহণেই ঈদ অনুষ্ঠান ফার্মারস গেম শো ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’। শাইখ সিরাজের পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ সারা দেশের মানুষের প্রাণের অনুষ্ঠানে রূপ নেয়।

অনুষ্ঠানে কৃষকদের নিয়ে আনন্দ-বিনোদনের পাশাপাশি থাকে সমাজ উন্নয়নমূলক বিভিন্ন ভাবনার কথা। যার ফলে অনুষ্ঠানটি হাসি আনন্দের পাশাপাশি সমাজ উন্নয়ন ভাবনায় সংশ্লিষ্ট মহলকেও সজাগ করে তোলে। প্রতিটি অনুষ্ঠানে থাকে একটি থিম। যার ভিত্তিমূলে থাকে কৃষক সমাজ। প্রতিবারই কৃষকের ঈদ আনন্দের পরিবেশ ও পরিবেশনায় বেশ খানিকটা ভিন্নতা পাওয়া যায়। কিন্তু এবারের ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ একেবারেই অন্য প্রেক্ষাপটে নির্মিত। সারা বিশ্বেই কৃষক এক অনন্য পরিচয়। অথচ এই উপমহাদেশে কৃষক অবহেলিত। কেন? কৃষি এদেশের অর্থনীতির মূল চালিকার একটি। এ দেশে কৃষক থাকবে মর্যাদার আসনে। যেখানে কৃষি ও কৃষককে কেন্দ্র করে রচিত হওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো, সেখানে কৃষকের অবস্থান কোথায়?

শাইখ সিরাজের অনুষ্ঠানে ক্যামেরার গতিপথ অনেক সময়ই ব্যাকরণ মেলে চলে না চললেও বাস্তবতার বাইরে এতটুকুও যায় না। তার ক্যমেরায় সারাক্ষণই ধরা পড়ে দেশ, দেশের মানুষ আর দেশাত্মবোধ। এবার কৃষকের ঈদ আনন্দ অনুষ্ঠানে সেদিকটিই আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। দেশের সাধারণ কৃষকদের নিয়ে একটি বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান করার পাশাপাশি সচেতনতার একটি আয়নাও যে তৈরি করা যায় তা প্রকাশ পেয়েছে এবারের অনুষ্ঠানে।

‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ অনুষ্ঠানটি ঈদুল ফিতরের পরদিন বেলা সাড়ে ৪টায় চ্যানেল আইতে প্রচার হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads