জামালপুরে বেলতিয়া হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় অধরা জাহান প্রথম ‘অবসান’ শিরোনামের একটি গান লেখেন। এর সংগীত পরিচালনা করেছিলেন এবং গেয়েছিলেন উজ্জ্বল কুমার। সেই সময় থেকেই গান লেখার প্রতি অধরার এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। তবে এ সময়ে এসে গান লেখালেখিতে তিনি যেন একটু বেশিই মনোযোগী হয়ে উঠছেন। আগামী ২১ জুন বিশ্ব সংগীত দিবস উপলক্ষে অধরা জাহান ‘অগ্নি বাসর’ শিরোনামের একটি গান লিখেছেন। গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন শান। এরই মধ্যে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন ‘খুদে গানরাজ’খ্যাত সংগীতশিল্পী নোশিন তাবাসসুম স্মরণ।
গানের কথা হচ্ছে, ‘খুঁজো তবে তখন বুঝবে যখন, আড়ালে লুকিয়ে ঠিক এমনি করে, আলো ছড়িয়েছি কত তোমার তরে, পাবে না সেদিন বুঝবে যেদিন, অগ্নি বাসর সাজাবো দূর আকাশের নীড়ে, আমার ব্যথারাও আলো হয়ে জ্বলবে তোমার আঁধারে।’
স্মরণের গায়কি প্রসঙ্গে অধরা জাহান বলেন, ‘স্মরণ তার বয়স অনুযায়ী গানটি যে দরদ এবং আবেগ দিয়ে গেয়েছে তাতে আমি খুব খুশি। আমার বিশ্বাস এই গানের মধ্য দিয়ে শ্রোতা-দর্শক নতুন এক স্মরণকে আবিষ্কার করবেন।’ শান বলেন, ‘স্মরণ অনেক ভালো গায়, যে কারণে তার প্রতি আস্থা রেখেই তাকে দিয়ে গানটি গাওয়ানো হয়েছে। আমি খুবই আশাবাদী গানটি নিয়ে।’
‘অগ্নি বাসর’ গানটি প্রসঙ্গে স্মরণ বলেন, ‘গানের কথা এবং সুর এক কথায় অসাধারণ। এই কথাটি বলার জন্যই বলা নয়। এখন এমন অনেক গানই প্রকাশিত হচ্ছে, যার কথা এবং সুর খুবই কাছাকাছি। কিন্তু অধরা আপুর লেখা অগ্নি বাসর গানের কথা যেমন অন্যরকম, শান ভাইয়া সুরও করেছেন অসাধারণ, তিনি তার মুন্সিয়ানার ছাপ রেখেছেন গানটিতে। হয়তো আমিই ভালো গাইতে পারিনি। কিন্তু ভালোভাবে গাওয়ার চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না আমার। গানটি শ্রোতা-দর্শকের ভালো লাগলেই আমি খুশি।’
আগামী ২১ জুন বিশ্ব সংগীত দিবস উপলক্ষে আগামী ২২ জুন গানটি একটি আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে প্রকাশ হবে বলে জানান অধরা জাহান। এরই মধ্যে অধরার লেখা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন হুমায়রা বশির, রাজা বশির, সাব্বির, রাশেদ। তবে তিনি জানান, আরো প্রায় বিশটি গান প্রস্তুত আছে। একে একে তা প্রকাশ পাবে। ২০০৮ সালে খুদে গানরাজ’ প্রতিযোগিতায় শীর্ষ পাঁচে ছিলেন স্মরণ। ‘কাছে আসতে মানা’ তার প্রথম মৌলিক গান। গানের কথা লিখেছিলেন এবং সুর সংগীত করেছিলেন প্রয়াত আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।