• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
আবেগাপ্লুত চৈতী

ছবি : সংগৃহীত

শোবিজ

আবেগাপ্লুত চৈতী

  • অভি মঈনুদ্দীন
  • প্রকাশিত ১৮ জুন ২০১৯

আজ থেকে পঁচিশ বছর আগে বার্জার পেইন্টসের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছিলেন মনির খান শিমুল ও লামিয়া তাবাস্সুম চৈতী। দীর্ঘ পঁচিশ বছর পর আবারো সেই বিজ্ঞাপনের সিক্যুয়ালে কাজ করে রীতিমতো দেশ-বিদেশে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। বিশেষত মডেল চৈতীর ১৯ বছর পর কাজে ফেরাটাকে সবার মধ্যে এক অন্যরকম উচ্ছ্বাস এনে দিয়েছে। অনেক দর্শকই সিক্যুয়াল এই বিজ্ঞাপনে তাদের ফেলে আসা দিনকে খুঁজে ফিরছেন বারবার। বিজ্ঞাপনটি প্রচারের শুরুর দিন থেকে প্রতিটি মুহূর্তে চৈতীও যেন দর্শকের ভালোবাসায় আবেগাপ্লুত হচ্ছেন। বিজ্ঞাপনটিতে কাজ করার আগে তার ভাবনায় ছিল হয়তো ভালো কিছু একটা হবে; কিন্তু সেটা যে তার ভাবনারও অনেক বেশি কিছু হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করবে তা বুঝতে পারেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চৈতী প্রতিনিয়ত দারুণ সাড়া পাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপনটিতে শিমুলের ‘তোমার কাজল কিন্তু এখনো কালোই ভালো’ সংলাপটি বলার পর চৈতীর এক্সপ্রেশনের মধ্যেই যেন দর্শক বারবার হারিয়ে যান ফেলে আসা দিনে। অবশ্য নতুন প্রজন্মের দর্শকরাও এই বিজ্ঞাপনের অতীত খোঁজার চেষ্টা করেও যেন আবেগাপ্লুত হচ্ছেন। কারণ অনেক আগে থেকেই এই দেশে অনেক ভালো বিজ্ঞাপন নির্মিত হতো।

বার্জারের প্রথম বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছিলেন আফজাল হোসেন। তবে শিমুল ও চৈতীর বার্জারের যে বিজ্ঞাপনটি ২৫ বছর আগে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল তা নির্মাণ করেছিলেন কলকাতার একজন নির্মাতা। ২৫ বছর পর সিক্যুয়াল এই বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেন আদনান আল রাজীব।

বিজ্ঞাপনটিতে কাজ করা এবং সাড়া পাওয়া প্রসঙ্গে চৈতী বলেন, ‘আমাদের দেশে বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে এটি একটি ঐতিহাসিক বিজ্ঞাপন হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে এখন। কারণ এবারই প্রথম কোনো বিজ্ঞাপনের এতটা বছর পর সিক্যুয়াল নির্মিত হলো। আমাকে উৎসাহিত করে আমার প্রিয় কর্মস্থলে এতটা বছর পর ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ইউনিট্রেন্ড, বার্জার সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ তাদের সবাইকে। ধন্যবাদ বিজ্ঞাপনটির নির্মাতা আদনান আল রাজীবকে, কারণ তার নির্দেশনায় কাজ করে বাংলাদেশের বর্তমান বিজ্ঞাপন নির্মাণের ক্ষেত্রটা যে এতো আধুনিক এবং আরো গুছানো হয়েছে তা জানা হলো আমার। তাই এখানে নিয়মিত কাজ করার আরো উৎসাহ পাচ্ছি আমি।’

চৈতীর বয়স যখন মাত্র ছয় মাস, সেই বয়সেই তিনি প্রথম মডেল হন। পরিণত বয়সে রাজীব মেননের নির্দেশনায় রেক্সোনা এবং পরে আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় বার্জারের প্রথম বিজ্ঞাপন, জুঁই নারিকেল তেল, আমিন জুয়েলার্সের বিজ্ঞাপনে মডেল হন। ১৯৯৯ সালে বাবা মঞ্চাভিনেতা এ টি ফয়েজ উদ্দিনের জন্যই প্রথম আফজালে হোসেনের নির্দেশনায় ‘ছবির মতো মেয়ে’ টেলিফিল্মে অভিনয় করেন। এতে তার সহশিল্পী ছিলেন আফজাল হোসেন, শিমুল ও জয়া আহসান। তবে তার বাবা সে বছর নভেম্বরে ইন্তেকাল করেন। বাবাই তার অভিনয় দেখে যেতে পারেননি। তাই আর চৈতীকে কাজে দেখা যায়নি। চৈতী বর্তমানে রাজধানীর উত্তরায় একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে শিক্ষকতা করছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads