ঢাকাই চলচ্চিত্রের অবস্থা খুব একটা সুবিধাজনক নয়। ফলে অনেক দর্শকপ্রিয় তারকা শিল্পী খুঁজছেন বিকল্প পথ। বেকারত্ব ঘোচাতে বাধ্য হয়েই অনেক তারকাই ঝুঁকছেন ওয়েব সিরিজে। এখানে যেমন বাজেট ঘাটতি নেই তেমনি অভিনয়েরও অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে। তাই বড় পর্দার তারকারাও এখন ছুটছেন ওয়েব সিরিজের দিকে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী পপিও এর ব্যতিক্রম নন।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অর্থাভাবে সিনেমা হল বন্ধ, জোড়াতালি দিয়ে ছবি নির্মাণসহ চলচ্চিত্রে চলছে ব্যবসায়িক মন্দা। ফলে নতুন নতুন ওয়েব সিরিজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন চিত্রনায়িকা পপি। কয়েকদিন আগে ‘ইন্দুবালা’ নামের একটি ওয়েব সিরিজে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। এর বেশ কিছু শুটিং হয়েছে কলকাতায়ও। এটি পরিচালনা করেছিলেন অনন্য মামুন। সেখানে একজন শিক্ষিত সাহসী নারীর চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।
ওয়েব সিরিজে অভিনয় প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা পপি বলেন, ‘আমি সবসময় ভালো কাজের সঙ্গে থাকতে চাই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক আগে থেকেই ওয়েব সিরিজ নির্মাণ হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশেও এ বিষয়টি নিয়ে কাজ হচ্ছে। এখন তো আমাদের এখানেও ভালো মানের ওয়েব সিরিজ নির্মাণ হচ্ছে।’
এদিকে ইন্দুবালার কাজ শেষ হতে না হতেই যুক্ত হলেন আরেকটি ওয়েব সিরিজের সঙ্গে। নাম ঠিক হয়েছে ‘ক্যান্ডেল লাইট’। এটি নির্মাণ করছেন আতিকুর রহমান লাভলু আর এতে প্রথমবারের মতো ওয়েব ফিল্মে জুটি বাঁধতে চলেছেন চিত্রনায়ক আমিন খানের সঙ্গে। নব্বই দশকে ঢাকাই সিনেমার অন্যতম আলোচিত জুটি আমিন খান ও পপি। একসঙ্গে অভিনয় করে বাণিজ্যিক সফলতা পেয়েছেন এক ডজনেরও বেশি ছবিতে।
সম্প্রতি শুটিং শেষ হওয়া এই অন্তর্জালভিত্তিক সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন অনুরূপ আইচ। তিনি বলেন, ‘এটি মূলত দুজন অভিনয়শিল্পীর ব্যক্তি জীবনেরই গল্প। যারা প্রেম করেন, বিয়ে করেন, সেপারেশনেও যান। এসব কিছু ঘটার বহু বছর পর তারা কোনো এক রাতে মুখোমুখি বসেন। পুরনো ভুল-শুদ্ধ তুলে এনে জীবনের নতুন হিসাব কষেন। আমার বিশ্বাস, এই দুটি চরিত্রের মধ্য দিয়ে দর্শকরা আমিন খান ও পপি জুটির নতুন রসায়ন খুঁজে পাবেন।’
নির্মাতা লাভলু জানান, সম্প্রতি ছবিটির শুটিং শেষ হয়েছে। সম্পাদনা শেষে এটি শিগগিরই মুক্তি দেওয়া হবে একটি ভিডিও স্ট্রিমিং সাইটে। তারও আগে প্রকাশ হবে এর টিজার, ট্রেলার। এতে আমিন খানকে দেখা যাবে অভিনেতা সজীব আর পপিকে অভিনেত্রী মৌরি চরিত্রে।
