• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
‘কালো মেঘের ভেলা’য় রুনা খান

ছবি : সংগৃহীত

শোবিজ

‘কালো মেঘের ভেলা’য় রুনা খান

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ জুলাই ২০১৯

রুনা খান। অভিনেত্রী ও মডেল। নাটকের পাশাপাশি রুনা খান ব্যস্ত আছেন একাধিক ধারাবাহিক নিয়ে। সম্প্রতি অভিনয় করেছেন বড় পর্দায়। দেশের প্রখ্যাত কবি নির্মলেন্দু গুণের শিশুতোষ উপন্যাস ‘কালো মেঘের ভেলা’ এবার চলচ্চিত্র রূপে আসছে। এত মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রুনা খান।

পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘কালো মেঘের ভেলা’ নির্মিত হয়েছে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে। এই চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য করেছেন প্রয়াত ফারুক হোসেন। আগামী ২৬ জুলাই দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে।

‘কালো মেঘের ভেলা’ সিনেমার কেন্দ্রীয় দুটি চরিত্র মা ও ছেলে। এতে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুনা খান। ছেলের চরিত্রে দেখা যাবে আপনকে। ছবির বেশির ভাগ অংশের শুটিং হয়েছে কবির গ্রাম বারহাট্টায়। এ ছাড়া কমলাপুর, পুবাইল, তেজগাঁও বস্তিতেও শুটিং সম্পন্ন করেছেন মৃত্তিকা গুণ।

ছবি প্রসঙ্গে রুনা বলেন, ‘উপন্যাসটি তো প্রায় সবাই পড়েছেন। চমৎকার একটি গল্প এখানে রয়েছে। এখানে মা ও ছেলের চরিত্র দুটি মনে দাগ কাটার মতো। আমি আনন্দিত প্রিয় কবির উপন্যাসের চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে। দর্শকরা ছবিটি উপভোগ করবেন।’

 

পরিচালক মৃত্তিকা জানান, স্বল্পদৈর্ঘ্যের জন্য অনুদান পেলেও গল্পটিকে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে রূপ দিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটি দেখানো হয়েছে। কলকাতা ইন্টারন্যাশনাল কাল্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা শিশু চলচ্চিত্র বিভাগে সিনেমাটি পুরস্কৃতও হয়েছে।

এ সিনেমার গল্পে দেখা যাবে, ঢাকার রেল স্টেশনের এক পথশিশুর সংগ্রামী জীবন। তার মধ্যেও আছে শৈশব-কৈশোরে থাকা প্রতিটি শিশুর ফ্যান্টাসিপ্রবণ মন। এ রকম ফ্যান্টাসি থেকেই একদিন হঠাৎ সে ট্রেনে উঠে নিরুদ্দেশের পথে যাত্রা করে। হাজির হয় একটি গ্রামে। সেখানে কাজের সন্ধান করে। যথারীতি নানা বাধা, প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়। শিশুটির সঙ্গে তার মায়ের গভীর সম্পর্কের বিষয়টিও উঠে এসেছে এ চলচ্চিত্রে।

ছোট পর্দায় বিভিন্ন ধারাবাহিক নাটক নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন রুনা খান। ‘দ্য গুড দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ ও ‘জোছনাময়ী’ নামের দুটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছেন। পাশাপাশি ব্যস্ত আছেন কিছু খণ্ড নাটকের কাজ নিয়ে। নাটকের অভিনয় নিয়ে ভালোই সাড়া পাচ্ছেন। রুনা খান বলেন, ‘দর্শকের সঙ্গে যোগাযোগ কম হয়। কিন্তু অন্যান্য নাটকের দর্শকও যে বেড়েছে, বলা সহজ। কেননা এখন কম-বেশি সব নাটকই ইউটিউবে দেখার সুযোগ তৈরি হয়েছে। নানা ব্যস্ততার কারণে যারা টিভিতে নাটক দেখতে পান না, অনেকে ইউটিউবে তাদের প্রিয় নাটক দেখছেন। প্রযুক্তি কল্যাণে এই সুবিধা।’

বেছে বেছে অভিনয় করেন রুনা খান। এর হেতু হিসেবে তিনি বলেন, ‘গৎবাঁধা চরিত্রে অভিনয় করতে চাই না। ঈদের নাটক টেলিছবির কাহিনি ভালো লেগেছে বলেই অভিনয় করেছি। যদিও অনেক সময় দেখা যায়, গল্প ভালো লাগায় অভিনয় করি, কিন্তু নাটক নির্মাণ শেষে দেখা যায়, তা মনের মতো হয়নি। কিন্তু এবারের নাটক টেলিছবি দর্শকের নিরাশ করবে বলে আমার মনে হয় না। কারণ প্রতিটি নির্মাতা অভিজ্ঞ, যাদের অনেক কাজই দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। সে হিসেবে ঈদের নাটক, টেলিছবিগুলো দর্শকের ভালো লাগবে বলে আশা করছি।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads