• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
তারকাদের ডেঙ্গু আতঙ্ক

সংগৃহীত ছবি

শোবিজ

তারকাদের ডেঙ্গু আতঙ্ক

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৮ আগস্ট ২০১৯

বাঘ-ভাল্লুক নয়, মানুষের ভয় এখন ক্ষুদ্র প্রাণি মশার। এডিস মশার কামড়ে হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়ে ডেঙ্গুজ্বরে ভুগছে। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। এই ভয়ানক জ্বরে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ঢাকা শহরের বাসিন্দারা। নগরের হাসপাতালগুলো ভরে গেছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীতে।

রক্তের প্লাটিলেট বিপজ্জনকভাবে কমে যাওয়ায় অনেকে মারাও গেছেন, যা ভাবিয়ে তুলেছে সারা দেশের মানুষকে। স্বাভাবিকভাবেই দেশের উচ্চপদস্থ আমলা থেকে খেটে খাওয়া সাধারণ দিনমজুর সবাই ডেঙ্গুজ্বরের আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন। সরকারিভাবে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ডেঙ্গু মোকাবেলায়।

ডেঙ্গুজ্বর যেন মহামারী আকার ধারণ করেছে। এ নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। এডিস মশার ভয়ে ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে শুটিংয়ে অংশ নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন অনেকে। এর মধ্যে আবার অনেক তারকা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। কোনো তারকা সাধারণ জ্বর নিয়ে ডেঙ্গু আতঙ্কে ভুগছেন।

এবার ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন ঢালিউডের এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ইয়ামিন হক ববি। ৬ আগস্ট রাতে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তির আগে ববি জানান, কয়েকদিন ধরে জ্বর জ্বর বোধ করছিলাম। মনে হলো আমার রক্ত পরীক্ষা করানো দরকার। হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। এখন কিছুটা সুস্থবোধ করলেও ডাক্তাররা আরো বেশ কয়েকদিন বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে দোয়া চাই।

বাংলাদেশ ও কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত। অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠসূত্রের বরাতে এই খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ভারতীয় গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশের পর জয়া আহসান জানিয়েছেন, ‘আমার এটি সাধারণ জ্বর। তাই আর ডেঙ্গু পরীক্ষা করিনি। দিনদুয়েক থেকে শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটছে। আশা করছি সেরে উঠব।’ তবে যদি জ্বর আরো কন্টিনিউ হয়, তাহলে ডেঙ্গুর জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাবেন বলে সবার কাছে সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন জয়া।

উল্লেখ্য, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিত্রনায়ক আলমগীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় তারকাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে এডিস মশা বা ডেঙ্গু আতঙ্কের কথা গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন ছোটপর্দার অভিনেতা সাজু খাদেম। তিনি বলেন, এডিস মশার কারণে ঢাকার ভেতর শুটিং করতে আগ্রহ নেই অনেক অভিনয়শিল্পীর। এডিস মশার ভয়ে পুবাইল বা ঢাকার বাইরে শুটিং হলে শিল্পীরা খুশিই হচ্ছেন। এছাড়া ঢাকার মধ্যে যেসব স্থানে শুটিং হয়, সেসব জায়গা খুব একটা ভালো নয়। অধিকাংশের অবস্থাই খারাপ। যত্রতত্র পানি জমে থাকে। এমনকি কিছু শুটিং হাউজের টয়েলেটের অবস্থাও খারাপ। এতে এডিস মশার বসবাস অস্বাভাবিক নয় বলে যোগ করেন এ অভিনেতা।

এডিস মশা ও ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী তারিন জাহানও। তিনি বলেন, আমরা মানুষই কিন্তু আমাদের পরিবেশ নষ্ট করি। ডেঙ্গুজ্বর মহামারী রূপ নেওয়ার পেছনে দায় আমাদের। সর্বক্ষেত্রেই আমাদের সচেতন হওয়া উচিত।

এ নিয়ে চিত্রনায়ক ফেরদৌস গণমাধ্যমকে বলেন, এডিস মশা কেবল যে ঢাকার মধ্যেই জন্মে এমনটি নয়। এটি যে কোনো জায়গায় জন্ম নিতে পারে। তবে আমরা যদি এ বিষয়ে সচেতন হই, তাহলে এডিস মশা ও ডেঙ্গুজ্বরের হাত থেকে রেহাই পাব।

শিল্পী সংঘের সভাপতি ও অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা জানি ডেঙ্গু সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষ ঘাবড়ে যাচ্ছে। সরকার চেষ্টা করছে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করতে। সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও সচেতন হতে হবে। যেসব জায়গায় এডিস মশা জন্মে, সেসব জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

অভিনেতা শহীদুজ্জামানের সঙ্গে সুর মেলান শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা আহসান হাবীব নাসিম। তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গুরোধে সবার আগে নিজেদের সচেতন থাকতে হবে। ঘরের আশপাশের ময়লা-আবর্জনা, জমে থাকা পানি পরিষ্কার করতে হবে। সবার প্রচেষ্টাই পারে ডেঙ্গু নির্মূল করতে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads