• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
দুই দশক পেরিয়ে

ছবি : সংগৃহীত

শোবিজ

দুই দশক পেরিয়ে

  • অভি মঈনুদ্দীন
  • প্রকাশিত ২৩ আগস্ট ২০১৯

বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনের কিংবদন্তি শিল্পী থেকে শুরু করে এই প্রজন্মের তরুণ জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের কাছে প্রিয় এক মিউজিশিয়ানের নাম আলমগীর হোসেন। দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে তিনি বেশ সুনামের সঙ্গে ড্রামস বাজিয়ে আসছেন। ড্রামস বাজানোতে তার দক্ষতাই তাকে আজকের শক্ত একটি অবস্থানে নিয়ে এসেছে। রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, সুবীর নন্দী, আইয়ুব বাচ্চু থেকে শুরু করে আজকের তরুণ অনেক সংগীতশিল্পীর সঙ্গেই আলমগীর হোসেন ড্রামস বাজিয়ে তাদের সংগীতানুষ্ঠানকে সুরের মূর্ছনায় ভাসিয়ে তুলেছেন।

ছোট্টবেলা থেকেই আলমগীর হোসেনের চোখে-মুখে স্বপ্ন ছিল দেশের গুণী সংগীতশিল্পীদের সঙ্গে একজন মিউজিশিয়ান হিসেবে কাজ করার। সেই স্বপ্নই একসময় পূর্ণ হলো তার। সময়ের ধারাবাহিকতায় আলমগীর হোসেন সংগীতশিল্পীদের কাছে এক বিশ্বাসের নাম। আলমগীর হোসেনের জন্ম নানার বাড়ি জয়পুর হাটে। তার বাবার বাড়ি পাবনা। ১৯৮৫ সাল থেকে বাবা আসির উদ্দিনের চাকরির সুবাদে ঢাকাতেই বসবাস করছেন। ১৯৯৭ সালে তিনি বিটিভিতে তবলা বাজাতেন। ১৯৯৮ সালে চার বন্ধু আলমগীর, সোহেল, টুটুল ও সুমন মিলে ‘ধূমকেত’ নামের একটি ব্যান্ড দল গড়ে তুললেও ২০০০ সালে এসে তারা নিজেদের ব্যান্ড দলের পাশাপাশি আঁখি আলমগীর, মনির খানসহ আরো অনেক শিল্পীর সঙ্গে যন্ত্র সংগীতশিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন।

২০০০ সালে আলমগীর তবলার পাশাপাশি ড্রামসও বাজাতে শুরু করেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত বেশ সাফল্যের সঙ্গেই একজন যন্ত্র সংগীতশিল্পী হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিনের এই পথচলায় তিনি একজন ড্রামার হিসেবে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন সামিনা চৌধুরীর সঙ্গে। একজন যন্ত্র সংগীতশিল্পী হিসেবে কাজ করা প্রসঙ্গে আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এই দেশের প্রেক্ষাপটে একজন যন্ত্র সংগীতশিল্পী হিসেবে আমি আসলে অনেক কিছুই পেয়েছি। পেয়েছি চেনাজানা, অজানা অনেক মানুষের দোয়া, ভালোবাসা। পেয়েছি কিংবদন্তি শিল্পীদের স্নেহ, আদর। ছোটবেলায় বড় বড় শিল্পীর সঙ্গে বাদ্যযন্ত্র বাজানোর স্বপ্ন দেখতাম। মানুষ মন থেকে কিছু চাইলে সেই স্বপ্ন যে পূরণ হয় তা নিজেকে দিয়ে অনুধাবন করতে পারি। মহান আল্লার কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা।’ আলমগীর হোসেন মা সাহারা বেগম। তার স্ত্রী জিনিয়া জাফরিন লুইপা এই প্রজন্মের একজন নন্দিত কণ্ঠশিল্পী।

দুজনেই একই পেশার হওয়া প্রসঙ্গে আলমগীর বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, আমি আর লুইপা দুজনই গানের মানুষ হওয়াতে সুবিধা হলো দুজনের মধ্যে কাজের বোঝাপড়াটা আমাদের চমৎকার। অন্য কোনো পেশার কেউ যদি আমার সহধর্মিণী হতো সেক্ষেত্রে হয়তো আমার জন্য আমার পেশাটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কঠিনই হতো।’ এদিকে আজ আলমগীর হোসেনের জন্মদিন। তার জন্মদিনের নানান আয়োজন লুইপাই করে থাকেন। আলমগীরের প্রিয় কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, কনকচাঁপা ও এই প্রজন্মের প্রিয়াংকা গোপ। একজন যন্ত্র সংগীতশিল্পী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি এখন কম্পোজিশন নিয়েও কাজ করছেন আলমগীর। ২০০৪ সালে হংকং-এ প্রথম বিদেশ ট্যুর ছিল তার। এরপর আরো বহু দেশে তিনি গেছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads