• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

শোবিজ

বাউল কিরণের গল্প

  • অভি মঈনুদ্দীন
  • প্রকাশিত ২৬ আগস্ট ২০১৯

বাউল কিরণ, জয়পুরহাটের কালাই থানার তেলিহার গ্রামের সন্তান। যার জন্মের পর থেকেই গানের সঙ্গেই নিত্যবাস। বাবা জসীম উদ্দিনের কাছেই বাউল কিরণের হাতেখড়ি। আর এভাবেই বাবার সঙ্গে থেকে নিজেকে একজন সত্যিকারের বাউল সাধকে পরিণত করেছেন। জয়পুরহাট তথা আশপাশের এলাকার সবাই এখন বাউল কিরণকে একনামেই চেনেন। জীবনযুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা হিসেবে গানই তার সঙ্গী এখন। সময়-অসময়ে কণ্ঠে বেজে ওঠে তার গান। আর এভাবেই যেন বাকিটা জীবন কাটিয়ে দিতে চান বাউল কিরণ।

এরই মধ্যে শতাধিক মৌলিক গানও গেয়েছেন আহমেদ রব্বানী, তানজীর আহমেদ শাকিব, প্রদীপ সাহার লেখায়। ইউটিউবে প্রকাশিত হয়ে দর্শকের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছেন আহমেদ রব্বানীর লেখা ‘কে বলে পীরিত ভালা না’ গানটির জন্য। পাশাপাশি তানজির আহমেদ শাকিবের ‘পাঠাইলো যে আমারে এই ভব সংসারে’ গানটির জন্যও বেশ সাড়া পাচ্ছেন তিনি। দুটি গানেরই সুর করেছেন বাউল কিরণ নিজেই। বাউল কিরণ জানান, তার গান মুন মিউজিক স্টুডিও, মিউজিক টাচ, ডট বাংলা ইউটিউব চ্যানেলে শ্রোতা দর্শকরা উপভোগ করতে পারবেন।

নিজের গায়কী জীবন প্রসঙ্গে বাউল কিরণ বলেন, ‘আমার বাবার কারণেই গানে নিজেকে একজন বাউলশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। বাবার আগ্রহেই আজকে আমি এই অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছি। সারা জীবন আমি সংগীত নিয়েই সাধনা করেছি। সংগীতের মধ্যেই নিজেকে ডুবিয়ে রাখতে চাই। চাই সবার ভালোবাসা, দোয়া। নিজের মনের গহিনে মনের সুখে কিংবা বিরহে সৃষ্ট হওয়া সুর সবার মধ্যে বিলিয়ে দিতে চাই সারাটা জীবন। ধন্যবাদ আহমেদ রব্বানী ভাইকে আমার পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য। তিনি আমাকে প্রতিনিয়ত অনেক অনুপ্রেরণা জোগান।’

বাউল কিরণের স্ত্রী ফরিদা পারভীন। একমাত্র সন্তান ফয়সাল আহমেদ। ২০০৩ সালে বাউল কিরণ এসএসসি উত্তীর্ণ হন। বাংলাদেশের বাউল সংগীতে বাউল কিরণ নিজের গান দিয়ে আরো সমৃদ্ধ করার দৃঢ়প্রত্যয় নিয়েই এগিয়ে যেতে চান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads