• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

পূর্ণিমার অজান্তে

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৬ আগস্ট ২০১৯

নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন নিয়ে পরিচালক পারভেজ আমিন নির্মাণ করতে যাচ্ছেন নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমা। এরই মধ্যে সিনেমাটির নায়িকা হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে কলকাতার স্বস্তিকা মুখার্জিকে। জানা গেছে, সিনেমাটির নায়িকা হিসেবে প্রথমে পূর্ণিমাকে নির্বাচন করেছিলেন পরিচালক। কিন্তু অপ্রত্যাশিত পারিশ্রমিক চাওয়ায় পূর্ণিমাকে নেওয়া হয়নি ছবিতে। তার বদলে নেওয়া হয়েছে স্বস্তিকাকে। অথচ পূর্ণিমা বলছেন তিনি ছবিটি সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

এ বিষয়ে পূর্ণিমা বলেন, ‘এ সিনেমার বিষয়ে আমার সঙ্গে কথা হয়েছে কি-না বলতে পারছি না। তবে সম্প্রতি কারো সঙ্গে নতুন সিনেমার ব্যাপারে আমার কোনো কথা হয়নি। অনেক আগে কথা হয়ে থাকতে পারে, ভুলে গেছি।’

এ বিষয়ে ছবিটির পরিচালক আমিন পারভেজ বলেন, ‘পারিশ্রমিকের কারণে পূর্ণিমাকে নেওয়া যাচ্ছে না, বিষয়টা ঠিক নয়। পূর্ণিমার চেয়ে স্বস্তিকার বাজেট কম নয়। সামগ্রিক বিবেচনায় পূর্ণিমাকে নিতে পারিনি।’

বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় ও আলোচিত নায়িকাদের অন্যতম পূর্ণিমা। সৌন্দর্য, অভিনয় ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে নিজেকে তিনি নিয়ে গেছেন সেরাদের তালিকায়। গেল মাসে ৩৯-এ পা দিয়েছেন এ অভিনেত্রী। অবশ্য এই বয়সটা তার কাছে কেবলই একটা সংখ্যা। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার সৌন্দর্য যেন দিন দিন বাড়ছে। এই বয়সেও কীভাবে তিনি এমন সৌন্দর্য ধরে রেখেছেন, তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয় সোশ্যাল মিডিয়াসহ নানা মাধ্যমে।

অভিনয় জগতে তার পথচলা শুরু মাত্র ১৬ বছর বয়সে। ১৯৯৭ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ ছবির মাধ্যমে পূর্ণিমার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। নায়ক ছিলেন রিয়াজ। এ জুটি একসঙ্গে সর্বাধিক ২৫টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। একসময় রিয়াজ-পূর্ণিমা জুটি ছিল খুবই দর্শকনন্দিত।

দীর্ঘ ২৩ বছরের ক্যারিয়ারে অসংখ্য হিট ছবি উপহার দিয়েছেন পূর্ণিমা। তার অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘হূদয়ের কথা’, ‘সুভা’, ‘আকাশছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিল না’, ‘পিতা-মাতার আমানত’, ‘কে আমি’, ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘মাটির ঠিকানা’ উল্লেখযোগ্য।

এর মধ্যে ২০১০ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিল না’ ছবিটির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে পূর্ণিমা তার ক্যারিয়ারের প্রথম ও একমাত্র ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ লাভ করেন। এই ছবির নায়ক ছিলেন পরিচালকের ছেলে অভিনেতা কাজী মারুফ। এছাড়া শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনি একাধিকবার ‘মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার’ পেয়েছেন।

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি বেশকিছু নাটকেও অভিনয় করেছেন, এখনো করছেন। এছাড়া উপস্থাপিকা হিসেবেও তিনি ব্যাপক নাম কামিয়েছেন। তিনি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছেন আরটিভিতে প্রচারিত সেলিব্রিটি টক শো ‘এবং পূর্ণিমা’ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনার জন্য। পাশাপাশি অনুষ্ঠানের একটি পর্বের জন্য হয়েছেন সমালোচিতও।

ব্যক্তিগত জীবনে ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর পারিবারিকভাবে আহমেদ জামাল ফাহাদকে বিয়ে করেন পূর্ণিমা। ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল তিনি কন্যাসন্তানের মা হন। পূর্ণিমার মেয়ের নাম আরশিয়া উমাইজা। কাজের ব্যস্ততার পাশাপাশি বর্তমানে স্বামী ফাহাদ ও মেয়ে আরশিয়াকে নিয়েই কাটে নায়িকার দিন ও রাত। এই প্রজন্মের কাছেও পূর্ণিমা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয়।

‘গাঙচিল’ ও ‘জ্যাম’ ছবির মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর রুপালি পর্দায় পূর্ণিমাকে খুঁজে পাবেন দর্শক। নিজেকে নতুনরূপে মেলে ধরতে শতভাগ চেষ্টাও করছেন। কিন্তু আগের মতো সফলতা দেখাতে পারবেন কি এই অভিনেত্রী?

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads