• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

‘বাবা আমার আদর্শ, আমি তাকেই অনুসরণ করি’

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

দশ বছর বিরতির পর গত বছর অভিনয়ে ফিরে বেশ আলোচনায় আসেন কিংবদন্তি নায়ক বুলবুল আহমেদের মেয়ে ঐন্দ্রিলা আহমেদ। অভিনেতা অপূর্বের সঙ্গে ‘বিলাভড’ শিরোনামের একটি নাটকের মধ্য দিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করেন তিনি। এরপর তিনি অভিনয় করেছেন রিদম খানের ‘চিলেকোঠার সংসার’, দিপু হাজরার ফেইক লাভ’, কাজী সাঈফের ‘আতংক’, পৃথ্বিরাজের ‘জলপুুকুরে ডুব’ নাটক ও মাবরুর রশিদ বান্নার ‘সাংসারিক ভালোবাসা’ টেলিছবিতে।

অভিনয়ে এখন অনিয়মিত হলেও ঐন্দ্রিলা ভিন্নধর্মী কাজ নিয়ে মাঝে মাঝে হাজির হন দর্শকের সামনে। বিরতি দিয়ে ফিরে আসেন বারবার। বেশ বিরতির পর আবারো নাগরিক টিভিতে ‘রান্নার এক্সপার্ট’ শিরোনামে একটি রান্নার অনুষ্ঠান নিয়ে আসছেন তিনি। চলতি মাসে এর নতুন সিজন প্রচার শুরু হবে।

ঐন্দ্রিলা বলেন, ‘এরই মধ্যে রান্নাবিষয়ক ওই অনুষ্ঠানের ত্রিশ পর্বের শুটিং শেষ করেছি। এখানে শোবিজের নানা অঙ্গনের তারকাদের উপস্থিতি থাকবে। উপস্থাপনায় নিয়মিত হতে চাই। কিন্তু সে রকম অনুষ্ঠান পাচ্ছি না। ‘রান্নায় এক্সপার্ট’ অনুষ্ঠানটি ভিন্নধারার বলে রাজি হয়েছি। আশা করছি অনুষ্ঠানটি দর্শকের ভালো লাগবে।

নাটকের পাশাপাশি দুটি বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন তিনি। ঐন্দ্রিলা বলেন, ‘আমি মনের মতো না হলে কাজ করছি না। অনেক কাজ আমাকে করতে হবে, এ সময়ে আমি তেমন ভাবি না। ভালো কাজের অপেক্ষায় আছি। যদি সে রকম গল্প ও চরিত্র পাই, আবার নতুন নাটকে অভিনয় করব। চাকরি ও সাংসারিক ব্যস্ততা রয়েছে। সবকিছু সামলে নিয়ে অভিনয় করছি। যেহেতু কাজ কম করছি, তাই ভালো কাজ নিয়েই দর্শকের মুখোমুখি হতে চাই। দিন শেষে দর্শকের কথা তো ভাবতে হয়।’

এখন টিভি নাটকের পরিবেশ আগের মতো নেই বলে মনে করেন এই তারকা। তিনি বলেন, ‘এজেন্ট এবং যার সঙ্গে যার ভালো সম্পর্ক, সে তাকে নিয়ে কাজ করছে। সে কারণে অনেক শিল্পীর হাতে কাজ কমে যাচ্ছে। দর্শক তাই ভালো নাটক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে টিভি নাটকের দর্শক কমে যাবে বলে আমি মনে করি।’ তবে মিডিয়ার প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে ইতিবাচক মনে করেন ঐন্দ্রিলা। চিত্রনাট্যেও পরিবর্তন এসেছে বলে জানান।

নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, খুব বেশি পরিকল্পনামাফিক কাজ করা হয় না। যখন যেটা করতে ভালো লাগে সে কাজে মনোনিবেশ করি। কোনো ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া নেই। বাবার স্বপ্ন পূরণে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কাজ করে যাচ্ছি। সবার সহযোগিতা ছিল বলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পাচ্ছি। আমার প্রত্যাশা আগামীতেও সবাই এভাবে পাশে থাকবেন।

ছেলেবেলায় ঐন্দ্রিলা নাচ-গান দুটোই শিখেছেন। তাই নাচ-গানেও তিনি পারদর্শী। বাবা বুলবুল আহমেদকে নিয়ে একটি গান লিখেছেন ঐন্দ্রিলা। গানের সুরও করেছেন তিনি। ‘উত্তরসূরি’ শিরোনামের এই গানটি গত বাবা দিবসে প্রকাশ পেয়েছে। এর আগে বাবাকে নিয়ে ‘এক জীবন্ত কিংবদন্তির কথা’ নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। বাবাকে নিয়ে লিখেছেন ‘একজন মহানায়কের কথা’। বাবার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ত্রয়ী চিত্রম’ নিয়েও নতুন আঙ্গিকে কাজ শুরু করেছেন। এরই মধ্যে একজন বিজ্ঞাপন নির্মাতা হিসেবে ঐন্দ্রিলার অভিষেক হয়েছে।

ঐন্দ্রিলা বলেন, ‘বাবা আমার আদর্শ। আমি তাকেই অনুসরণ করি। অভিনয়ের জায়গায় এসে বাবাকে আরো অনুভব করি। মনে হয় আমি যেন বাবারই প্রতিফলন। ‘ত্রয়ী চিত্রম’ বাবার অনেক স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে ভালো ভালো কাজ দর্শকের জন্য উপহার দিয়েছেন বাবা। বাবার দেখানো পথ ধরে এ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্মাণ করছি।’

আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় ‘সানক্রেস্ট’-এর বিজ্ঞাপনে প্রথম মডেল হিসেবে কাজ করেন ঐন্দ্রিলা। পরে ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী’র বিজ্ঞাপনে এ দেশে প্রথম মডেল হন তিনি। প্রায় বিশটির মতো বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন ঐন্দ্রিলা আহমেদ। এ ছাড়া বেশ কিছু নাটকের টাইটেল সং-এ কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads