• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

নতুন উদ্যমে চাঁদনী

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

পুরো নাম মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী। তবে শোবিজ অঙ্গনে তিনি চাঁদনী নামেই বেশি পরিচিত। যিনি একাধারে একজন মডেল, অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত। কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেও তার মধ্যে দুটি চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। জীবন চলার বাঁকে ছন্দপতন ঘটে এই তারকার। মাঝে লম্বা সময় বিরতিতেও ছিলেন। পিছুটান ভুলে আবারো কাজে মনোযোগী হতে যাচ্ছেন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী। কণ্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে বিয়ের পর অনেকটা আড়ালেই চলে গিয়েছিলেন তিনি। খুব বেশি কাজে দেখা যায়নি তাকে। তবে এগুলো নিয়ে তিনি আর বসে থাকতে চান না। নতুন করে শুরু করতে চান সবকিছু।

নাচ ও অভিনয়ে নিয়মিত হতে চান চাঁদনী। তিনি বলেন, ‘আমি আগে থেকেই খুব কম অভিনয় করি। বেছে বেছে কাজ করি। মাঝখানে অনেকটা সময় কাজ করা হয়নি। তবে কাজের প্রতি আমি এখন অনেক মনোযোগী। নিয়মিত কাজ করতে চাই। নিজেকে নতুনভাবে সাজিয়ে নিতে চাই। চেষ্টা করছি নতুন করে সবকিছুতে ব্যস্ত হওয়ার। আপাতত নাচ নিয়েই আছি। অভিনয় ও নাচ দুটি করলেও নাচের অনুষ্ঠানই বেশি করা হয় আমার। আমার শুরুটা তো নাচ দিয়েই।’

নাচের বর্তমান অবস্থা নিয়ে চাঁদনী  বলেন, ‘নাচ নিয়ে কাজ হচ্ছে। তবে এর চর্চাটা খুব বেশি হচ্ছে না। যদিও নতুনরা কেউ কেউ ভালো করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল অন্যান্য অনুষ্ঠান যতটা প্রচার করে সে তুলনায় নাচের অনুষ্ঠান কম করেন। আগে একটা সময় ছিল নিয়মিত নাচের অনুষ্ঠান হতো। তবে ইদানীং চ্যানেলগুলো নাচের অনুষ্ঠান করছে। কিন্তু পেশাদার নাচের শিল্পী দিয়ে নাচের অনুষ্ঠান কম করা হয়। দেখা যাচ্ছে, অপেশাদার নাচের শিল্পী, হয়তো তারকা বটে কিন্তু নাচের লোক নয়, তাকে দিয়ে নাচের অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। এ বিষয়গুলো ভেবে দেখা দরকার। যে যেখানকার তাকে সেখানেই রাখা উচিত।’

বর্তমানে দুটি চ্যানেলে চাঁদনী অভিনীত দুটি ধারাবাহিক নাটক প্রচারিত হচ্ছে। মাতিয়া বানু শুকুর রচনা ও রাজু চৌধুরীর পরিচালনায় এনটিভিতে প্রচারিত হচ্ছে ‘ঘুমন্ত শহরে’। আশিক মাহমুদের পরিচালনায় বাংলা ভিশনে ‘পাগলা হাওয়া’। এটি আর কয়েক পর্ব প্রচারের পর শেষ হয়ে যাবে। এ ছাড়া হিরণের পরিচালনায় ‘টিপু সুলতান’ নামের একটি ধারাবাহিকের প্রচার শুরু হবে আরটিভিতে।

তিনটি নাটকের গল্প ও চরিত্র তিন ধরনের। ‘ঘুমন্ত শহরে’ চাঁদনী নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এটি পারিবারিক গল্পের একটি নাটক। অন্যদিকে একটি মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিছু মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের জীবনের চালচিত্র হাস্যরসাত্মকভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘পাগলা হাওয়া’য়।

অন্যদিকে গ্রামের প্রেক্ষাপটের নাটক ‘টিপু সুলতান’। এতে আমি ভণ্ড মহিলা পীরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন চাঁদনী। এ নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে চাঁদনী বলেন, ‘বয়স ততটা না হলেও বুড়োদের মতো চালচলন। লাঠি ভর করে হাঁটি। একদমই ব্যতিক্রম চরিত্র। এর আগে এমন চরিত্রে অভিনয় করা হয়নি। অভিনয়টি করে খুব ভালো লেগেছে। আশা করি, নতুন এ ধারাবাহিকটি সবার ভালো লাগবে।’

চলচ্চিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছে আছে চাঁদনীর। বলেন, ‘আমি যেহেতু মাঝখানে চার বছর অভিনয়ের বাইরে ছিলাম এ জন্য অনেকের সঙ্গে যোগাযোগের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। হয়তো কেউ কেউ আমাকে চেয়েও পাননি। এখন ভালোভাবে সিনেমাটাই করতে চাচ্ছি। ভালো গল্প হলে বাণিজ্যিক বা অবাণিজ্যিক সব ধরনের সিনেমাতেই অভিনয় করতে চাই।’

মেঘের আড়ালে সূর্য হাসে। চাঁদনীর জীবনের মেঘ এখন অনেকটাই কেটে গেছে। এখন খালি নব উদ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। চাঁদনী এখন হিসাব কষে এগুতে চান। পুরনো ভুল আর করতে চান না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads