• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

শোবিজ

গানে ফিরবেন ডা. ঝুমু খান

  • অভি মঈনুদ্দীন
  • প্রকাশিত ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ডা. ঝুমু খান, পেশায় মূলত তিনি একজন ডাক্তার। তবে ডাক্তার হওয়ার অনেক আগেই তিনি একজন সংগীতশিল্পী হিসেবেই নিজের আত্মপ্র্রকাশ ঘটিয়েছিলেন। ১৯৯৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় তার একক অ্যালবাম ‘চন্দ্রিমা রাতে’। এই অ্যালবামের ‘পান খাইতে চুন লাগে’ গানটি সেই সময় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। গানটি লিখেছিলেন হাসান মতিউর রহমান এবং সুর করেছিলেন মানাম আহমেদ। গানটির জনপ্রিয়তার কারণে পরবর্তী সময়ে তোজাম্মেল হক বকুল পরিচালিত ‘বাঁশিওয়ালা’ সিনেমায় গানটি ব্যবহূত হয়েছিল।

তবে সিনেমার জন্য তিনি প্রথম গান গেয়েছিলেন মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত মান্না-চম্পা অভিনীত ‘প্রেম দিওয়ানা’ সিনেমাতে। এই সিনেমার জনপ্রিয় একটি গান ছিল- ‘এই বুকে হায় জ্বলে আগুন তুমি কী বুঝো না।’ গানটি লিখেছিলেন মুনশী ওয়াদুদ এবং সংগীত পরিচালনা করেছিলেন শেখ সাদী খান। সেই সময় সিনেমাতে প্লে-ব্যাক সিঙ্গার হিসেবে জাহানারা ফেরদৌস খান ঝুমু নামেই তার যাত্রা শুরু হয়েছিল। অবশ্য নবাগতা হিসেবে সংগীতারও এই সিনেমাতে অভিষেক হয়।

এরপর ঝুমু খান ‘মৌসুমী’ সিনেমায় শাকিলা জাফরের সঙ্গে ‘বন্ধু হয়ে কাছে এলে’, শাবনূরের প্রথম সিনেমা ‘চাঁদনী রাতে’তে ‘তুমি কী কী কী বুঝো না না না, তোমার প্রেমে আমি দিওয়ানা’ গানটিসহ ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’ এবং আরো বেশ কয়েকটি সিনেমায় গান করেন তিনি। ঝুমু খানের অন্যান্য একক অ্যালবাম হচ্ছে- ‘সরল মনে’, ‘দুই লাইনের চিঠি দিলা না’, ‘হূদয়ে তুমি’। সর্বশেষ ২০১৩ সালে ডিএলএম থেকে ‘অজানায়’ নামের একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। এরপর তাকে আর গানে পাওয়া যায়নি। কারণ ডাক্তার হিসেবেই তার কর্মব্যস্ততা অনেক বেশি। তবে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে নতুন নতুন গান করার।

 ঝুমু খান বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, এখন আমার গান গাওয়ার চেয়ে গান শুনতেই বেশি ভালো লাগে। শাহনাজ আপা, রুনা আপা, সাবিনা আপা- তাদের গান শুনতে শুনতেই বড় হয়েছি। পরে সামিনা আপা, ফাহমিদা আপার গানও মন ছুঁয়ে গেছে। এই প্রজন্মের অনেকের গানই ভালো লাগে আমার। গানের কথা এবং সুর ভালো লাগলেই তা আমি শুনি। গানে নতুন একটি ধারা এসেছে, এই ধারাটা আমার খুউব ভালো লাগে। আর ভালো লাগে বিধায়ই মাঝে মাঝে মনে হয় নতুন করে গান করি। দেখা যাক কি হয়, হঠাৎ করেই নতুন গান করেও ফেলতে পারি।’

এদিকে আজ ঝুমু খানের জন্মদিন। জন্মদিনে একমাত্র ছেলে এলমানের স্কুলে কিছুটা সময় কাটিয়ে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় একটি স্কুলে যাবেন। সেখানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরেও একটি স্কলারশিপ দেবেন। ঝুমু খান নিজের হাতে সেইসব বাচ্চাদের স্কলারশিপ তুলে দেন। এরপর তিনি রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউতে ‘লেজার মেডিকেল সেন্টার লিমিটেড’-এ পেশাগত কাজে বসবেন সন্ধ্যা পর্যন্ত। এরপর পুরোটা সময়ই পরিবারের সঙ্গে কাটাবেন তিনি। ঝুমু খানের বাবা এ কে এম জাহাঙ্গীর খান জীবন্ত কিংবদন্তি চলচ্চিত্র প্রযোজক, যাকে মুভি মুঘল হিসেবে অভিহিত করা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads