দীর্ঘ চার মাসেরও বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বেশ খানিকটা সুস্থ হয়েই একুশে পদকপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান চলতি মাসের শুরুতে বাসায় ফেরেন। কিন্তু বাসায় ফেরার আগে থেকেই এ টি এম শামসুজ্জামান চোখে কম দেখেন। বাসায় ফেরার পর দুই চোখে এ টি এম শামসুজ্জামান খুব কমই দেখছেন। এ টি এম শামসুজ্জামানের সহধর্মিণী রুনী জামান জানান, এরই মধ্যে কলকাতা গিয়েও চোখের চিকিৎসা করার কথা ছিল। কিন্তু শরীরের অবস্থা ভালো না বিধায় আপাতত কলকাতায় নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই ঢাকাতেই চোখের চিকিৎসা করতে হচ্ছে। এরই মধ্যে রাজধানীর বসুন্ধরায় অবস্থিত আই হসপিটালের ডাক্তার সালেহ আহমেদকে দেখানো হয়েছে। আগামী রোববার সকালে এ টি এম শামসুজ্জামানের চোখে অপারেশন করা হবে বলে জানান রুনী জামান।
এ টি এম শামসুজ্জামান দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং দেশবাসীর দোয়ায় এখন শারীরিকভাবে অনেকটাই সুস্থ আছি। চোখের সমস্যাটাও যেন দূর হয়ে যায় এই দোয়া চাই সবার কাছে। কারণ মানুষের দোয়া আর ভালোবাসাতেই আমি সবার মাঝে, আমার পরিবারের কাছে আমি ফিরে এসেছি। ধন্যবাদ জানাই আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি একজন শিল্পীবান্ধব প্রধানমন্ত্রী, যার প্রমাণ তিনি বারবার দিচ্ছেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।’
এদিকে গেল ১০ সেপ্টেম্বর ছিল এ টি এম শামসুজ্জামানের জন্মদিন। সেদিন তার বাসায় তাকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা শাবনাজ, পপি, রোজী সেলিম, রওনক হাসান, মীর সাব্বির, মৌটুসী বিশ্বাসসহ আরো অনেকে। গেল রোববার এ টি এম শামসুজ্জামানের বন্ধু, সহশিল্পী নায়িকা শবনমও তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তবে বাসায় ফেরার পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, পরিচালক সমিতি কিংবা শিল্পী সমিতি থেকে তার সঙ্গে কেউই দেখা করতে যাননি। এমনকি এ টি এম শামসুজ্জামান অভিনীত নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু পরিচালিত ‘আলফা’ সিনেমাটি অস্কারে যাওয়ার জন্য প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করা হলে বিষয়টি এ টি এমকে ‘আলফা’ সংশ্লিষ্টরা জানানোরও প্রয়োজন বোধ করেননি, জানান এ টি এম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল। অবশ্য এসব বিষয় নিয়ে এ টি এম শামসুজ্জামানের কোনো দুঃখ বোধ বা কষ্টও নেই। এ টি এমের ভাষ্যমতে যার যার হিসাব তার তার কাছে।
