ঢালিউডের তারকা অপু বিশ্বাসের জীবনকাহিনী ছবির থেকে কম নয়। ঢালিউডে অভিনয়ের শুরু থেকে শাকিব খানের সঙ্গে থাকা, পরে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া, সংসার পোক্ত হওয়ার আগেই আবার বিবাহ বিচ্ছেদ, ছেলেকে নিয়ে আলাদা জীবন- সব নিয়ে অপু বিশ্বাস এখন দ্বিধাহীনতায় ভুগছেন। পুরনো সম্পর্কের ইতি ঘটেছে আগেই। এবার নতুন জীবনের ইঙ্গিত দিলেন তারকা। একমাত্র ছেলে আব্রাম খান জয়ের কথা ভেবে জীবনকে নতুন করে সাজানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই তারকা। এমনকি বিয়ে করে পুরোপুরি সংসারে মনোযোগী হয়ে চলচ্চিত্র থেকে বিদায় নেওয়ারও ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
অপু বিশ্বাস বলেন, ‘পরিবার থেকে দীর্ঘদিন ধরেই বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। শুরুতে বিয়ের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেও এখন মনে হচ্ছে ছেলের কথা ভেবেই আমার সুন্দর একটা ভবিষ্যৎ সাজানো জরুরি। তাছাড়া কতইবা বয়স আমার! ভুল-ভ্রান্তি সবারই থাকে। সব ভুলে সমাজের আর দশটা নারীর মতো আমিও চাচ্ছি সংসারী হতে। তবে এবার আর নিজের পছন্দ নয়, পারিবারিকভাবেই আমার বিয়ের জন্য পাত্র খোঁজা হচ্ছে। বিয়েও হবে পারিবারিকভাবে।’
মাঝে শুক্রবার ছিল অপু বিশ্বাসের ছেলে জয়ের জন্মদিন। এ উপলক্ষে রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে জমকালো এক বার্থডে পার্টি করেন এই অভিনেত্রী। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে অপু বিশ্বাসের ‘ধর্ম’ পালন নিয়ে নানা ধরনের কথা উঠেছে বিভিন্ন মহলে। বিষয়টি নিয়ে অপু বলেন, ‘কাগজ-কলম ও জন্মসূত্রে আমি হিন্দু। দীর্ঘদিন আমাকে অনেক কিছুই গোপন করতে হয়েছে। বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতে বলেছে আমি গোপন রেখেছিলাম। কনসেপ হলে গোপন রাখতে বলেছে তা রেখেছিলাম। সন্তান হওয়ার পর গোপন রাখতে বলেছিল তাও করেছি। তবে ধর্মের ব্যাপারে আমাকে কোনো বাধ্যবাধকতা করা হয়নি। তাদের সঙ্গে থাকতে গিয়ে আমি চেয়েছিলাম সারা জীবন অবশ্যই তাদের সম্মান দিয়ে যাব। একজনকে ভালোবেসে মুসলিম ধর্মকে সম্মান দেখিয়েছি, আজও দেখাই। সব ধর্মের প্রতি আমার সম্মান ও শ্রদ্ধা আছে।’
অপু বিশ্বাস বর্তমানে একাধিক ছবি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। কলকাতার ‘শর্টকাট’ ও বাংলাদেশের ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ-২’ ছবির কাজ শেষ করেছেন। ছবি দুটি এখন মুক্তির অপেক্ষায়। এছাড়া ‘চন্দ্রপাড়ের পার্বতী’সহ একাধিক ছবি তার হাতে রয়েছে। অন্যদিকে এ নায়িকা বিজ্ঞাপন ও মঞ্চ অনুষ্ঠানেও রয়েছেন সরব।
নিজের ব্যাপারে অপু বলেন, ‘এই বয়সে তো অনেক ঘটনাই ঘটে গেছে আমার জীবনে, যা সবারই জানা। নিজেকে এভাবে একা না রেখে বাকি জীবনটা নিয়ে ভাবা দরকার। জয় বড় হলে কেউ যেন আমাকে নিয়ে ওর কাছে কোনো বাজে মন্তব্য করতে না পারেন। এজন্য বিয়ের বিষয়টি চিন্তা করেছি। মিডিয়ায় আমার একটা সম্মান আছে, আমি আমার সেই সম্মানকে খাটো করতে চাই না। নিজেকে নতুন করে সাজানো এটা কোনো অন্যায় নয়। এটা প্রত্যেকের বৈধ অধিকার। এভাবে একাকী না থেকে বরং নিজেকে গুছিয়ে নেওয়াটাই সম্মানের। আমি সেটাই করতে চাইছি।’
