• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

আমি সব সময়ই পজিটিভ মাইন্ডের মেয়ে

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৩ অক্টোবর ২০১৯

৩৭ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী নিবন্ধন করেছিলেন মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। সেখান থেকে সেরা ১২ জন বাছাই করা হয়। তাদের নিয়েই গত শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠিত হয় ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৯’-এর গ্র্যান্ড ফিনালে। সৌন্দর্য, শিক্ষা, স্মার্টনিটি, উপস্থাপনা, পারফর্মে এই ১২ জনই ছিলেন অনন্যা। তবু বিচারকের রায় বেছে নিয়েছে সেরাদের সেরাকে। প্রথম রানার আপ হিসেবে দেবাশীষ বিশ্বাস ঘোষণা করলেন ফাতিহা মিয়ামির নাম। এরপর চাপা উত্তেজনা বিরাজ করা মঞ্চে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয় রাফাহ নানজিবা তোরসার নাম। কথা হয় নতুন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর তার সাথে-

আপনার  বর্তমান অনুভূতি...

সত্যি কথা যদি বলতে হয় আসলে অনুভূতি প্রকাশের ভাষা নেই। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কিন্তু একটা ভয়ও ছিল। কারণ যারা সেরা ১২-তে এসেছে সবাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতা রাখে। আমরা একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছি। জানি কে কেমন। সেখানে সবাইকে রেখে নিজের নামটি বিজয়ী হিসেবে শুনতে পারাটা অনেক বড় আনন্দের ও প্রাপ্তির।

 

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব...

মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের প্রতিনিধিত্ব করব। প্রত্যাশা এখন আকাশ ছোঁয়ার। নিজেকে তৈরি করছি আমি। নানা রকম গ্রুমিংয়ে সৌন্দর্য ও বুদ্ধিকে কীভাবে স্মার্টলি উপস্থাপন করতে হয় শিখছি। ফেরদৌস স্যার, মৌসুমী ও ফারনাজ আলম ম্যামসহ বেশ চমৎকার কয়েকজন গুণী মানুষের সান্নিধ্যে সমৃদ্ধ হয়েছি। এগুলো মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চে কাজে লাগবে। সামনে আরো কিছু সময় হাতে পাওয়া যাবে যেসব গ্যাপ আছে তা পূরণ করার। আগে যারা বিশ্ব সুন্দরীর মঞ্চে গিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে, তাদের অভিজ্ঞতাও জানার সুযোগ হবে। আশা করছি দেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনব।

আপনার আত্মবিশ্বাস...

আমি সব সময়ই পজিটিভ মাইন্ডের মেয়ে। তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমি আত্মবিশ্বাসী। ছোটবেলা থেকেই আমি নানা রকম প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সাফল্য পেতাম। জাতীয় পর্যায়েও কিছু অর্জন আছে। যদিও বিশ্ব সুন্দরীর মঞ্চটা এসব থেকে আলাদা। তবু আমার বিশ্বাস চেষ্টা করলে অনেক দূর যেতে পারব। সবার দোয়া ও সমর্থন চাই।

আপনার ক্যারিয়ার...

আমি ছোটবেলা থেকেই গান, নৃত্য, আবৃত্তি, অঙ্কন, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতাম। থিয়েটার, মডেলিং, মূকাভিনয়েও শিক্ষা রয়েছে আমার। আবৃত্তি সংগঠন ‘নরেন’ এবং থিয়েটার সংগঠন ‘ফেইম’-এর সাথে যুক্ত আছি। সামাজিক সংগঠন লিও ক্লাব এবং রেডক্রিসেন্টেরও সদস্য তোরসা।

পুরস্কার...

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে স্বর্ণপদকসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছি। ২০০৮ সালে ‘লিটল মিস চিটাগং’ প্রতিযোগিতায় প্রথম হই। ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে লোকনৃত্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশুকিশোর প্রতিযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিয়েছি। ২০১০ সালে জাতীয় শিশুকিশোর প্রতিযোগিতায় ভরতনাট্যম নৃত্যে স্বর্ণপদক পেয়েছিলাম। সেই বছর এনটিভি মার্কস অলরাউন্ডারে প্রতিযোগিতার হয়েছিলাম প্রথম রানার আপও। এর বাইরে নানা সময় আবৃত্তি, ছবি আঁকা ও নাচে দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন পুরস্কার পাই।

আপনার প্রেরণা...

সবকিছুতেই আমার প্রেরণা হিসেবে কাজ করেন মা। এই প্রতিযোগিতার বেলাতেও তিনি ছিলেন আড়ালের শক্তি হয়ে। তবে আমি কৃতজ্ঞ আমার শিক্ষালয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে। ‘আমার ক্যাম্পাসও জয়ের জন্য প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। যখন সবাই জানতে পারল যে আমি মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশে সেরা ১২ জনের একজন হয়েছি, সেখানে হই চই পড়ে গেল। আমার ক্যাম্পাসের বন্ধুরা, বড় ও ছোট ভাইবোনেরা আমার জন্য ভোট চেয়েছেন। এটা আমাকে দারুণভাবে প্রেরণা দিয়েছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে। সবার কাছে কৃতজ্ঞ আমি।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা...

এখনো তেমন করে কোনো পরিকল্পনা করা হয়নি। আপাতত মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চের জন্য তৈরি হব। সেখান থেকে ফিরে বাকি সব ভাবনা। তবে শোবিজে কাজ করার ইচ্ছে আমার ছিল। চেষ্টা করব সেই ইচ্ছেটাকে পূরণ করতে। সেই সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেও কিছু কাজ করতে চাই। বিশেষ করে দেশের মেয়েদের স্যানিটেশন নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা আছে আমার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads