• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

হতাশ আইয়ুব বাচ্চুর পরিবার

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ অক্টোবর ২০১৯

আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে কোনো বড় আয়োজন না দেখে বেশ হতাশ হয়েছেন এই কিংবদন্তির স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমার আশা ছিল সরকারি এবং শিল্পীদের উদ্যোগে আইয়ুব বাচ্চুকে যোগ্য সম্মান প্রদর্শন করা হবে। হয়নি-তাতে আমার রাগ নেই। কষ্ট পেয়েছি। এবং নিজেরাই যা করার করছি।’

এমনিতেও জীবিত অবস্থায় আইয়ুব বাচ্চু কখনোই চাইতেন না তার পরিবার মিডিয়ার সামনে আসুক। এমন কী মৃত্যুর পরও ছেলে আহনাফ তাজোয়ার আইয়ুব ছাড়া পরিবারের আর কেউ শহীদ মিনারে যাওয়া থেকে বিরত হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ফেরদৌস আক্তার বলেন, ‘আমরা চেয়েছি আইয়ুব বাচ্চুর ইচ্ছা সবসময় অপরিবর্তিত থাকুক। তার মৃত্যুর পর আমরা নিজেদের পাবলিসিটি চাইনি-চাবও না কোনোদিন।’

তবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি চাওয়া আছে। সেটা হলো- শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর সম্পদ হলো তার সৃষ্টি করা সংগীত। এই সংগীতের যেন অপমান না করা হয়। ফেরদৌস আক্তার বলেন, ‘অবশ্যই আইয়ুব বাচ্চুর মতো গুণী শিল্পীকে সবাই সম্মান জানাবে, তার গান গেয়ে তাকে ট্রিবিউট করবে। কিন্তু সুর যেন না বিকৃতি হয়। মৃত্যুর পর অনেকেই তার গান বিকৃত সুরে গেয়েছে। বিষয়টা দুঃখজনক এবং একজন প্রয়াত শিল্পীর জন্য অপমানজনক তো বটেই।’

তিনি আরো যোগ করেন, ‘আইয়ুব বাচ্চুর করা প্রতিটা গানের আইনি হিসাব আছে। রয়্যালিটি-কপিরাইট সবই তার নামে। হ্যাঁ, আমরা কোনো আইনি ব্যবস্থা নেব না। শুধু চাইব এই শিল্পীর প্রতি অন্যদের সম্মান থাকুক। তারপরেও কেউ যদি সেটা না মানেন, আমার বিশ্বাস তাদের জন্য অসীমে কোনো আদালতের কাঠগড়া অপেক্ষা করবে।’

ফেরদৌস আক্তারের সঙ্গে আইয়ুব বাচ্চু ঘর বেঁধেছিলেন ১৯৯১ সালের ৩১ জানুয়ারি, এত বছরের হাতধরা মানুষটি চলে গেলে কেমন লাগবে সেটির জন্য শব্দ নয়, তার অশ্রুই যথেষ্ট। সেই অশ্রুর ধারা জমে আরো বেশি যখন স্ত্রী ফেরদৌস বুঝতে পারতেন, শরীর খারাপ সত্ত্বেও কীভাবে এই ব্যান্ড তারকা কনসার্ট নিতেন, গান গাইতেন-শুধু তার সহকর্মীদের কথা চিন্তা করে।

স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার আইয়ুব বাচ্চুর এসব অবদানের কোনো প্রতিদান চান না। শুধু চান সাধারণ মানুষ যেভাবে শিল্পীকে ভালোবেসে আগলে রেখেছেন, শুধু ব্যবসায়িক বা উপার্জনের জন্য নয়, শিল্পীকে তার সহকর্মীরাও এভাবে আগলে রাখুক।

আপাতত আইয়ুব বাচ্চুর সামাজিক মাধ্যমের দেখভাল করছে এই পরিবার। এ নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন ফেরদৌস আক্তার। তিনি মনে করেন, আইয়ুব বাচ্চুর প্রতিটা বিষয়ই দেশের সম্পদ এবং তারপর পরিবারের অধিকার। এর কোনো দ্বিতীয় প্রশ্ন হতে পারে না।

ফেরদৌস আক্তার চন্দনা বলেন, ‘এদেশের প্রশাসন, সরকার এবং সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে চট্টগ্রামের মানুষের ভালোবাসায় আমরা কৃতজ্ঞ। একজন শিল্পী মানেই মানুষের ভালোবাসা। তা টিকে থাকুক। এবং শিল্পীর পরিবারের জন্য দোয়া অব্যাহত থাকুক।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads