• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

আমার অনুপ্রেরণা ছিল সিনেমা

  • প্রকাশিত ১৯ অক্টোবর ২০১৯

কাজী হায়াৎ ১৯৪৭ সালে গোপালগঞ্জের কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন সিনেমার লোক হবেন। তারপর এম কম পরীক্ষা দিয়ে ঢাকায় আসা। মমতাজ আলির সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর নিজেই হয়ে ওঠেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের সেরা পরিচালকদের একজন। ৪৯টি সিনেমা নির্মাণ করা এই পরিচালক আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। কাজী হায়াতের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রবিউল কমল

চলচ্চিত্রের সঙ্গে পথচলা শুরু যেভাবে...

কাজী হায়াৎ : আমার জীবনের বড় পরিকল্পনা ছিল সিনেমার জগতের কিছু হওয়া। ক্লাস ফোরে পড়ার সময় প্রথম সিনেমা দেখি। সিনেমার নাম ছিল ‘সাগরিকা’। খুলনার পিকচার প্যালেস হলে মামার সঙ্গে সিনেমাটি দেখি। ওই সিনেমা দেখেই মামাকে বলেছিলাম, ‘মামা আমি সিনেমার লোক হব’। তখন মামা বলেছিলেন, ‘সিনেমার লোক হওয়া সহজ না। অনেক টাকা লাগে। রাজা-বাদশার ছেলেমেয়েরা এসব হয়। তুই এসব হতে পারবি না।’ তখন আমার প্রচণ্ড জিদ ছিল। না শব্দটা একেবারেই মেনে নিতে পারতাম না। আমি তখন থেকেই লক্ষ্য স্থির করে ফেলি, আমি সিনেমার লোক হব। এভাবেই সিনেমার জগতের লোক হয়ে গেলাম।

এখন পর্যন্ত কয়টি সিনেমা বানিয়েছেন?

কাজী হায়াৎ : ৪৯টি সিনেমা নির্মাণ করেছি। অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে আমাকে এই অবস্থানে আসতে হয়েছে। মানুষের কাছ থেকে যেমন স্বীকৃতি পেয়েছি তেমনি করে রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আমি স্বীকৃতি পেয়েছি। আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি, ৩টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি, পাঁচটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নিজের ছবি নিয়ে গিয়েছি।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারের মনে পড়ার মতো স্মৃতি

কাজী হায়াৎ : আমি তখন মমতাজ আলির সহকারী হিসেবে কাজ করছি। তখন এ জগতে একেবারেই নতুন। কবিতার সঙ্গে প্রথম কাজ করছি। একটি গানের শুটিংয়ের দৃশ্য, চিড়িয়াখানায় হচ্ছিল। সব শিল্পীরা জুতা এক জায়গায় জড়ো করে রেখেছে। শুটিং শেষে কবিতা আমাকে তার জুতা আনার আদেশ দিল, ব্যাপারটা আমি সহজভাবে নিতে পারিনি, বেশ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। আমি তার জুতা আনলাম না। কবিতা খুব চিৎকার, চেঁচামেচি করল। এমনকি মমতাজ ভাইয়ের কাছে নালিশও দিল। আমি মমতাজ ভাইকে সব বুঝিয়ে বললাম। মমতাজ ভাই আমাকে খুব পছন্দ করতেন। উনি কবিতাকে বললেন, ‘ও আমার সহকারী। ও একটি শিক্ষিত-ভদ্র ছেলে। ও এমকম পরীক্ষা দিয়ে আমার সঙ্গে কাজ করছে। আপনি ওকে বলেছেন ওটা ওর কাজ না।’ কবিতা এরপর থেকে আমাকে খুব সম্মান করত। আমি মমতাজ ভাইয়ের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব, যত দিন বেঁচে থাকব তাকে ভুলব না।

আপনার অনুপ্রেরণা কারা ছিল?

কাজী হায়াৎ : আমার অনুপ্রেরণা ছিল সিনেমা। আমি সিনেমা দেখতাম আর অনুপ্রাণিত হতাম। সিনেমার জগতে ঢোকার পরে আমার অনুপ্রেরণা ছিল মমতাজ আলি, আলমগীর কবির। তারা আমার খুব প্রশংসা করতেন। প্রায় বলতেন আমি সিনেমার জগতে ভালো করব।

বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?

কাজী হায়াৎ : নতুন একটি ছবি রয়েছে হাতে। কিছু কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আর ইউটিউবের জন্য কিছু কনটেন্ট রেডি করছি। খুব শিগগিরই আমার ইউটিউব চ্যানেলে পাবে তোমরা। আমার ইউটিউব চ্যানেলের নাম ‘থটস অব কাজী হায়াৎ।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads