বাংলাদেশের বিশিষ্ট নজরুল সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরার উদ্যোগে তারই তত্ত্বাবধানে রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রতিষ্ঠিত হয় সংগীত, নৃত্য, আর্টসহ আরো আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘সুরসপ্তক’। এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানও ফেরদৌস আরা। দেখতে দেখতে ‘সুরসপ্তক’ আগামী ফেব্রয়ারিতে দুই দশক পূর্ণ করতে যাচ্ছে। তাই ‘সুরসপ্তক’ এবার আয়োজন করতে যাচ্ছে বিশেষ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেরদৌস আরা। তিনি জানান, নজরুল সংগীতশিল্পী, শিক্ষক, চিন্তাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক এবং সর্বোপরি নজরুলবিষয়ক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের এই সম্মাননায় ভূষিত করা হবে। শুধু বাংলাদেশেরই নয়, ভারত থেকেও অনেকেই এই সম্মাননায় ভূষিত হবেন। সম্মাননা জানানো হবে নজরুল পরিবারকেও।
ফেরদৌস আরা বলেন, ‘দেখতে দেখতে সুরসপ্তক বেশ সুনামের সঙ্গেই দুই দশক পূর্ণ করতে যাচ্ছে। বিষয়টি যখন গভীরভাবে আমার ভাবনায় এলো ঠিক তখনই সম্মাননা প্রদানের বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যেতে শুরু করেছি। আমার মনে হয় একজন নজরুল সংগীতশিল্পী হিসেবেই শুধু নয়, একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হিসেবে নজরুলসংগীতে ক্ষেত্র বিশেষে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সম্মাননা জানানো সুরসপ্তক-এর জন্য অনেক গর্বের বিষয়। তাই এই আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছি। আমার সঙ্গে অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে এগিয়ে আসবেন। তাদের আগাম কৃতজ্ঞতা জানাই। সেইসঙ্গে আমার এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করতে সবার কাছ থেকেই সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি। আমার মনে হচ্ছে নিশ্চয়ই এটি একটি ভালো উদ্যোগ হতে যাচ্ছে।’
এদিকে ফেরদৌস আরা ‘নজরুলসংগীত সমগ্র-১০’র কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। এর আগে গেল মে মাসে ‘নজরুলসংগীত সমগ্র-৯’ প্রকাশিত হয়েছে ইমপ্রেস অডিও ভিশনের ব্যানারে। এই অ্যালবামগুলোত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আর্দি রেকর্ডভিত্তিক শুদ্ধ বাণী ও প্রমিত সুরেই ফেরদৌস আরা গাইছেন। যে কারণে বুঝেশুনে তাকেই মূলত মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্টের কাজটিও করতে হচ্ছে নেপথ্যে থেকে। তাকে সহযোগিতা করছেন সুজেয় শ্যাম ও বাসুদেব ঘোষ। ফেরদৌস আরা জানান, নজরুলসংগীত সমগ্র-এর প্রথম খণ্ডটিতে নয়টি গান ছিল। বাকি সব অ্যালবামেই বারোটি করে গান আছে। দশম খণ্ডের কাজ প্রায় শেষ। আগামী বছরের শুরুতেই অ্যালবামটি শ্রোতা-দর্শকের হাতে তুলে দেওয়ার আগ্রহ রয়েছে ফেরদৌস আরার।