মেয়ের মা হলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত মডেল ও অভিনেত্রী রুমানা। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে ২২ অক্টোবর রুমানার কোলজুড়ে এক কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। যেহেতু রুমানার এটাই প্রথম সন্তান, তাই গর্ভকালীন সময়টা বেশ সাবধানতার মধ্যেই তাকে কাটাতে হয়েছে বলে জানান রুমানা। ডা. দীপক নন্দা ও তার টিমের তত্ত্বাবধানে রুমানার প্রথম সন্তান পৃথিবীর আলোর মুখ দেখে। প্রথমবারের মতো মা হয়ে ভীষণ আনন্দিত রুমানা।
রুমানা বলেন, ‘নারীজীবনের পূর্ণতার স্বাদ পেলাম মা হওয়ার মধ্য দিয়ে। ভীষণ খুশিতে বার বার চোখে পানি আসছে। তবে আমার চেয়ে আরো বেশি খুশি হয়েছে আমার স্বামী, স্বামীর পরিবার, আমার মা। তাদের খুশি দেখে নিজের ভেতরের ভালো লাগার অনুভূতি প্রকাশ করতে ভুলে যাচ্ছি। আল্লাহর কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা তিনি আমাকে সুস্থ, সুন্দর একটি কন্যা উপহার দিয়েছেন। আমার বন্ধুমহলের সবাই, যেমন মোনালিসা, কনাসহ সবাই খুব খুশি। তাদের খুশির উচ্ছ্বাসটাও যেন আমার চেয়ে বেশি। সবাই আমার সন্তানের জন্য দোয়া করবেন।’
রুমানার মেয়ের নাম রাখা হয়েছে আভানকা, যার অর্থ পাওয়ারফুল। নামটি রেখেছেন রুমানার স্বামী এলেন রহমান। রুমানা ও এলেনের বিয়ে হয় ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে রুমানার সঙ্গে রুমানার মা, বড় ভাইয়ের পরিবারও আছেন। যে কারণে মা হওয়ার পরবর্তী মুহূর্তের প্রয়োজনীয় সময়ে তাদের কাছে পেয়েও অনেকটাই আশ্বস্ত রুমানা। সন্তানকে নিয়ে বাংলাদেশ ঘুরে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
রুমানা বলেন, ‘আমি বাংলাদেশি, এটাই আমার বড় পরিচয়। বাংলাদেশের আলো-বাতাসে আমি বেড়ে উঠেছি, বাংলাদেশের মাটির গন্ধ আমার গায়ে লেগে আছে। সেই আলো বাতাস আর মাটির স্পর্শ যেন আমার সন্তানও পায়, সেই ইচ্ছে তো অবশ্যই আছে। সময় করে অবশ্যই যাব ইনশাল্লাহ।’
রুমানার স্বামী এলেন রহমান বলেন, ‘বাবা হওয়ার এই অনুভূতি সত্যিই ভাষায় প্রকাশের নয়। তবে আমি এবং আমার পরিবারের সবাই মনে মনে চাইছি আভানকার চোখ দুটোও যেন রুমানার মতোই হয়। ডাক্তারও বলেছেন, রুমানার মতোই হওয়ার কথা আমার মেয়ের চোখ।’
রুমানা জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। রহমতুল্লাহ তুহিনের নির্দেশনায় অপূর্বর বিপরীতে সর্বশেষ একটি নাটকে তাকে অভিনয়ে দেখা যায়। এরপর আর তাকে কোনো নাটকে অভিনয় করতে দেখা যায়নি।
