• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

ফিল্মের ক্যানভাস আসলে বড় : মিলন

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০১ নভেম্বর ২০১৯

‘ইন্দুবালা গো, তুমি কোন আকাশে থাকো, জ্যোৎস্না কারে মাখো, কার উঠোনে পড়ো ঝরিয়া, ডুবিয়া মরিলাম, মরিয়া ডুবিলাম, ডুবিয়া মরিলাম, মরিয়া ডুবিলাম, ইন্দুবালা গো, ইন্দুবালা গো’- জনপ্রিয় অভিনেতা ও কণ্ঠশিল্পী ফজলুর রহমান বাবুর গাওয়া এই গানটি নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করেছেন জয় সরকার। এই সিনেমায় ইন্দুবালার নায়ক হিসেবে আছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন আর ইন্দুবালা চরিত্রে অভিনয় করেছেন নবাগত পায়েল। ছবিটি গেল মে মাসে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে। আগমী ২৯ নভেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘ইন্দুবালা’। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই ছবির নির্মাতা জয় সরকার।

গত বছরের নভেম্বরে সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়। সিনেমাটির অধিকাংশ গানের কথা ও সুর করেছেন প্লাবণ কোরেশী। গান গেয়েছেন ফকির শাহাবুদ্দিন, বিউটি, বেলাল খান, সানিয়া রমা প্রমুখ।

মিলনের শুরুটা মঞ্চ দিয়ে। আর্তনাদ থিয়েটারে অভিনয়ে হাতেখড়ি। এরপর পা রাখেন টিভি পর্দায়। চ্যানেল আইতে প্রচারিত ‘রঙের মানুষ’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন তিনি। একে একে টিভি পর্দায় ‘জয়িতা’, ‘প্রজাপতিকাল’, ‘হাতকুরা’, ‘মধুময়রা’, ‘অতঃপর, ‘শুভাগমন’সহ অসংখ্য দর্শক নন্দিত নাটকে অভিনয় করে নির্মাতাদের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন এই অভিনেতা। বর্তমানে বড় পর্দায়ও একজন জনপ্রিয় অভিনেতা অর্থাৎ হিরো। ‘দেহরক্ষী’, ‘পোড়ামন’, ‘ব্ল্যাকমেইল’ ও ‘লালচর’সহ তার অভিনীত নয়টি ছবি ইতোমধ্যে মুক্তি পেয়েছে এবং তা দর্শকনন্দিতও হয়েছে। হাতে রয়েছে প্রায় হাফ ডজন ছবি। মঞ্চে একরকম মিলন, টিভিপর্দায় আরেক রকম অভিনেতা এবং বড়পর্দায় একেবারেই নিজেকে বদলে নতুন এক অভিনেতা হিসেবে তার ভক্তরা তাকে আবিষ্কার করেছে। একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিনিয়ত ভাঙছেন, গড়ছেন এবং নতুনভাবে নিজেকে হাজির করছেন। বড়পর্দা ও ছোটপর্দা- দু’জায়গাতেই সমানভাবে অভিনয় করছেন আনিসুর রহমান মিলন।

নাটক ও সিনেমার মধ্যে কোনটা এ তারকার কাছে বেশি প্রাধান্য পায় এমন প্রশ্নের উত্তরে মিলন বলেন, ‘নাটকে তো অবশ্যই বেশি। আর তা ছাড়া আমি অভিনতা। অভিনয়কে বেশি প্রাধান্য দিই। আর সিনেমায় হিরোগিরি লুক দিতে একটু কষ্টই বেশি হয়। এদিকে ওদিকে স্লো-মোশন শর্ট। বিষয়টি এনজয় করি। আর নাটকে এতটা কষ্ট হয় না, যতটা সিনেমা করতে হয়।

সিনেমায় নিজের মূল্যায়ন প্রসঙ্গে এ তারকা বলেন, ‘সিনেমার ব্যাপারটা অন্যরকম। প্রায় অনেক লোকই অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে চালানোর চেষ্টা করে। যে পণ্য একদম চলেনা সেগুলো অন্যের ওপর দিয়ে চালানোর চেষ্টা করা হয়। এজন্য একটু সচেতন হয়ে কাজ করতে হয়। আমি এখন পর্যন্ত আমার অবস্থান নিয়ে অসন্তুষ্ট নই।’

নাটক ও সিনেমায় তাল মিলিয়ে অভিনয় করে যাচ্ছেন মিলন। দুই ক্ষেত্রে ধারাবাহিক অভিনয় নিয়ে মিলন বলেন, ‘আমাকে এ নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। যখন অনেক সাধের ময়না সিনেমার শুটিং করি, তখন অনেকেই বলতেন নাটকগুলো চলা বন্ধ করেন। না হলে সিনেমা চলবে না। পরে দেখা যায়, অনেক সাধের ময়না সিনেমাটি ভাল আলোচনায় আসে। তখন কিন্তু টিভি চ্যানেলে আমার ৯টি সিরিয়াল চলে। এতে করে একটা সুবিধা হয়েছে।’ বড় এ দুই ক্ষেত্রের পার্থক্যের ব্যাখ্যা দেন মিলন। তিনি বলেন, ‘পার্থক্য তো বেশি দেখি না। তবে পারফরম্যান্সের ধরন দুইক্ষেত্রে ভিন্ন। আমার অভিনীত ইফতেখার চৌধুরীর পরিচালনায় ‘দেহরক্ষী’ ছবিটি যখন রিলিজ হয় তখন বিভিন্ন চ্যানেলে আমার বারোটা ধারাবাহিক প্রচার চলতি ছিল। তারপরও ‘দেহরক্ষী’র অভিনয়টা আলাদাভাবে নিয়েছেন দর্শক। কারণ বারোটা ধারাবাহিক নাটক ও চলচ্চিত্রের অভিনয়ে ভিন্নতা ছিল। ফিল্মের ক্যানভাস আসলে বড়। অনেক টিভি নাটকে নদী দেখাতে গিয়ে দীঘি দেখিয়েই বোঝানো হয় এটা নদী। কিন্তু ফিল্মে দীঘি দেখালে সেটা আর ফিল্ম থাকবেই না। রিয়েল জায়গাটা ফিল্মে লাগবে। এটাই দুটির মধ্যে পার্থক্য। আরেকটি বিষয় হলো অভিনয়ে ভিন্নতা আনা। আমি একসময় মঞ্চে নিয়মিত কাজ করতাম। যখন টিভি নাটকে অভিনয় শুরু করি তখন কিন্তু মঞ্চের সেই অভিনয়টা টিভি মিডিয়ায় করলে চলতো না কিংবা দর্শক তা পছন্দ করতেন না। কেননা টেলিভিশন মিডিয়া ক্লোজ মিডিয়া এবং ইরেজ মিডিয়াও বটে। প্রতিনিয়ত বদলায়। তাই টিভি মিডিয়ায় নিজের অভিনীত চরিত্রের সঙ্গে প্রতিনিয়ত নিজেকে বদলাতে হয়েছে। আবার যখন বড়পর্দায় অভিনয় শুরু করলাম তখনো কিন্তু নিজেকে ভেঙেছি। যেমন নাটকে কোনো চিৎকারের দৃশ্য থাকলে সেটা নাটকের পর্দা এবং ড্রয়িং রুমের ব্যাপ্তিকে মাথায় রেখে চিৎকার দিতে হয়। আবার চলচ্চিত্রে যখন চিৎকারের দৃশ্য আসে তখন সিনেমা হলের কথা চিন্তা করেই অনেক জোরে সেই চিৎকারটা দিতে হয়। অর্থাৎ পরিমিত বিষয়টা কোথায় কেমন হবে সেটা একজন অভিনেতা হিসেবে মাথায় রাখতে হয়।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads