• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

প্রেমিক থেকে বখাটে অপূর্ব

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০২ নভেম্বর ২০১৯

রোমান্টিক গল্পের নাটকে অপূর্বের যেন কোনো বিকল্প নেই। প্রেমের গল্পের নাটকে অভিনয় করতে করতে ‘লাভার বয়’ হিসেবেই পরিচিতি পেয়ে গেছেন তিনি। এছাড়া নানা মাত্রিক চরিত্রে হাজির হয়ে দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন।

সংসারের বড় ছেলে বলতেও কেবল ভেসে ওঠে জনপ্রিয় এই অভিনেতার মুখ। এবার ভিন্ন ধরনের একটি চরিত্রে হাজির হতে যাচ্ছেন অপূর্ব। সম্প্রতি রাজিব আহমেদের রচনায় তানভীর তন্ময়ের ‘রংবাজ’ শিরোনামের একটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। এই নাটকে তার চরিত্রটির নাম জসিম।

‘রংবাজ’ নাটকের গল্পে দেখা যাবে, ঢাকা শহরের মধ্যবিত্ত পরিবারের স্কুলশিক্ষক মায়ের একমাত্র মেয়ে মিনা। তার বাবা নেই। পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত মিনাকে বিরক্ত করে এলাকার অশিক্ষিত রংবাজ জসিম। জসিমের একমাত্র কাজ মিনাকে ফলো করা। মিনার বিয়ে প্রায় ঠিকঠাক হয় অন্যখানে। এদিকে জসিম কখন কখন রংবাজ থেকে প্রেমিক হয়ে ওঠে। এগিয়ে যায় গল্প।

বখাটে থেকে প্রেমিক হয়ে ওঠার এই গল্পই ফুটিয়ে তুলবেন অপূর্ব। নাটকটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন তানজিন তিশা। ৮ নভেম্বর রাত ৯টায় বাংলাভিশনে প্রচার হবে নাটকটি।

এমনিতে এক ঘণ্টার নাটকে অভিনয় করতে দেখা যায় এ তারকাকে। এ বিষয়ে অপূর্ব বলেন, আমি বেশি এক ঘণ্টার নাটকে অভিনয় করি এটা সত্যি। কিন্তু ধারাবাহিকও কিন্তু করছি। বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকের কাজ করছি। সামনে আরো কিছু ধারাবাহিকের কাজ করা হবে। তবে আমি এক ঘণ্টার নাটকে অভিনয় করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কারণ গল্পটা একবারে শেষ হয়ে যায়। দর্শকদের কাজ থেকে প্রতিক্রিয়াটা সঙ্গে সঙ্গেই পাওয়া যায়। আর আমাদের এখানে ধারাবাহিক নাটকের খুব একটা জনপ্রিয়তা এ মুহূর্তে নেই। একসময় ছিল। বিটিভিতে মানুষ ধারাবাহিক নাটক দেখার জন্য তাকিয়ে থাকত। এখন সবগুলো ধারাবাহিকের গল্প প্রায়ই একই রকম। আলাদ আলাদা বিষয় নিয়ে কাজ করলে দর্শকদের কাছে পৌঁছানো যায়।

রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় এ তারকাকে। অনেকটাই রোমান্টিক অভিনেতা হিসেবে তার পরিচিতি। এর বাইরে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয়ের বিষয়ে অপূর্ব বলেন, চ্যালেঞ্জিং চরিত্র অনেক করেছি, তেমন সাড়া পাইনি। দর্শকের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করছি এখন। দর্শকই তার প্রিয় শিল্পীকে আলাদা করে ফেলে। নির্মাতারা এসে যখন বলেন, ভাই, এই চরিত্রটা আপনি ছাড়া আর কাউকে দিয়ে হবে না, তখন আমি গর্ববোধ করি এই ভেবে যে, যাক, তাহলে আমার বিশেষত্ব তৈরি হয়েছে! আমি মনে করি, আমাকে যে ধরনের চরিত্রে মানাবে সেটাতেই আমি কাজ করব।

নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে অপূর্ব বলেন, চলতে-ফিরতে বেশ কিছু গল্প ভর করে আমার মাথায়। যখন কোনো কাছের ডিরেক্টর কিংবা মানুষ পাই, তার সঙ্গে সেটা শেয়ার করি। তখন দেখা গেছে সেই ডিরেক্টর বললেন, সেটা তিনি বানাবেন। আসলে সেভাবেই কাজগুলো হয়েছে। আর ডিরেকশনের ব্যাপারটা হচ্ছে, একেবারেই নিজস্ব একটা ভালো লাগা থেকে তৈরি হয়েছে। একটি গল্প আমি চিন্তা করার পর মনে হয়েছে, এটা আসলে আমি যেভাবে চিন্তা করেছি, সেভাবেই বানাতে হবে এবং সেটা আমিই পারব। অন্যকে দিলে সেটা হয়তো নষ্ট হয়ে যাবে। এখন ভবিষ্যতের কথা বলতে পারি না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads