• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

‘সিনেমার অবস্থা ভালো নয়’

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৩ নভেম্বর ২০১৯

ঢাকাই চলচ্চিত্রে ব্যতিক্রমী এক চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভিন পপি। যথার্থ নায়িকা হওয়ার যা যা গুণ থাকা প্রয়োজন, তার সবই আছে পপির মধ্যে। বয়স চল্লিশ পেরোলেও আগের মতোই নিজের গ্ল্যামার ধরে রেখেছেন ক্যারিয়ার সচেতন এই নায়িকা। সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন নাটক, সিনেমা ওয়েব সিরিজ এবং বিজ্ঞাপনের কাজ। সোজাসাপটা ও সত্যভাষী হওয়াতে পপির লাইফস্টাইলও মুগ্ধ করে সবাইকে। এ কারণে অনেকেই তাকে অগ্নিকন্যা বলেও মন্তব্য করেন। সম্প্রতি শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে তার আগুন ছড়ানো সাহসী বক্তব্যে আবারো তার প্রমাণ পাওয়া গেল।

পপি এখন অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পপি বলেন, ‘কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করার কারণে এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারিনি। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চলচ্চিত্রটির শুটিং শুরু হবে কক্সবাজারে। এছাড়া ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এর শুটিং হবে। আমি চরিত্রটি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছি। অন্যদিকে ‘ইয়েস ম্যাডাম’ ছাড়াও কোনোটির শুটিং অর্ধেক শেষ হয়েছে, কোনোটির শুটিং সবে শুরু হয়েছে আবার কোনোটির শুটিং শেষ হয়ে এখন ডাবিং চলছে। ‘সেভ লাইভ’ নামের একটি সিনেমার শুটিং অনেকটাই শেষ। ‘সাহসী যোদ্ধা’ একটি সিনেমার শুটিং শেষের পথে। ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ সিনেমার শুটিংও ইতোমধ্যে শেষ। চলচ্চিত্রের বাইরে ওয়েব সিরিজও করছি। বহুল আলোচিত ‘ইন্দুবালা’ ওয়েব সিরিজে। এছাড়া ‘গার্ডেন গেম’ ও ‘ক্যান্ডেল লাইট’ নামে দুটি ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করেছি। আসলে এ মাধ্যমটা বর্তমানে বেশ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বড় তারকারা ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন। কাজের ক্ষেত্রটা ভালো থাকলে ওয়েব সিরিজে অভিনয় করা মন্দ নয়।’

ওয়েব সিরিজে অভিনয় করতে দেখা যায় এ তারকাকে। পপি অবশ্য ওয়েব সিরিজে অভিনয় করতে স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করেন। পপি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন সিনেমার অবস্থা ভালো নয়। ব্যবসা মন্দা, প্রযোজক নেই। সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া প্রযুক্তির কল্যাণে এখন সবকিছু মানুষের হাতের মুঠোয় পাওয়া যাচ্ছে। তাই ইন্টারনেটভিত্তিক সবকিছুর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সেই ভাবনা থেকেই ওয়েব সিরিজে কাজ করা। যেহেতু আমি একজন অভিনেত্রী এবং অভিনয় আমার পেশা, তাই গল্প, চরিত্র এবং বাজেট ঠিক থাকলে সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজ যে কোনো মাধ্যমেই আমার কাজ করতে আপত্তি নেই।’

১৯৯৭ সালে ‘কুলি’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে রুপালি পর্দায় কাজ শুরু করেন পপি। ‘কারাগার’ (২০০৩), ‘মেঘের কোলে রোদ’ (২০০৮) ও ‘গঙ্গাযাত্রা’ (২০০৯) ছবিতে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads