• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

‘রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সংস্থার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র চলছে’

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ নভেম্বর ২০১৯

রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সংস্থার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন সংস্থার সভাপতি সংগীতশিল্পী তপন মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক পীযূষ বড়ুয়া।

তারা যৌথ এক বিবৃতিতে বলেছেন, কতিপয় শিল্পী গোপনে সংস্থার নাম নিবন্ধন এবং সিগনেটরি পরিবর্তনের আবেদন তৈরি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সংস্থা ও রবীন্দ্রসংগীতশিল্পীদের কল্যাণে গচ্ছিত অর্থ হস্তগত করার অপচেষ্টা করেছিলেন। যার কারণে সংস্থার নিবন্ধন কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর।

তপন মাহমুদ ও পীযূষ বড়ুয়া সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সংস্থা অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দেশে রবীন্দ্রসংগীতের প্রচার-প্রসারে এবং সংগীতশিল্পীদের আর্থিক কল্যাণে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সংস্থার অনুমোদিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ১৫ দিনের নোটিশ দিয়ে দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভার মাধ্যমে নতুন কমিটি করার বিধান থাকায় তা অনুসরণ করে গত ৩০/০৮/২০১৯ তারিখে সংস্থার সাধারণ সভায় সাধারণ সদস্যদের গোপন মতামতের (গোপন ব্যালট) ভিত্তিতে আগামী মুবছরের জন্য তপন মাহমুদ সভাপতি ও পীযূষ বড়ুয়া সাধারণ সম্পদক পদে নির্বাচিত হন। নির্বাচন বিরোধী ২/১ জন শিল্পীর প্ররোচনায় সংস্থার সুনাম নষ্ট করা ও নিজেদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য দুঃখজনকভাবে অসত্য তথ্য দিয়ে সমাজসেবা দপ্তর থেকে কয়েকজন দলছুট শিল্পী (যাদের অধিকাংশই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ ও পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন) অত্যন্ত গোপনে সংস্থার নাম নিবন্ধন এবং সিগনেটরি পরিবর্তনের আবেদন তৈরি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সংস্থা ও রবীন্দ্রসংগীতশিল্পীদের কল্যাণে গচ্ছিত অর্থ হস্তগত করার অপচেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু নিবন্ধন হওয়ার আগেই সংস্থা নেতৃত্ব বিষয়টি জানতে পেরে সঠিক তথ্য ও প্রমাণ দেওয়ার পর বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তর তাদের সে নিবন্ধন প্রক্রিয়া স্থগিত করে এ বিষয়ে গত ১৭/১০/২০১৯ তারিখে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছে, যা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানটিও বিষয়টি সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পদককে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তারপরও সে মহলটি সংস্থার নাম তাদের পক্ষে নিবন্ধন করেছেন বলে দাবি করে শিল্পী এবং রবীন্দ্রানুরাগীদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। রবীন্দ্র চেতনাবিনাশী এসব কর্মকাণ্ডে আমরা স্তম্ভিত, লজ্জিত ও দুঃখিত এবং এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এ দেশের রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, ক্ষতি হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে সুস্থ ধারার বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার অগ্রযাত্রা। আশা করি সবার শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বার্থপরতা বাদ দিয়ে সবাই রবীন্দ্রালোকে উদ্ভাসিত হবেন।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads