• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা

সংগৃহীত ছবি

শোবিজ

শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ নভেম্বর ২০১৯

উপমহাদেশের প্রখ্যাত গায়িকা, জীবন্ত কিংবদন্তি যেভাবেই বলি না কেন, তিনি হলেন রুনা লায়লা। গানে গানে বাংলাদেশকে নিয়ে তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন বিশ্বমঞ্চে। দীর্ঘদিন পর নতুন গান কণ্ঠে তুলেছেন উপমহাদেশের খ্যাতিমান এই কণ্ঠশিল্পী ।

তাও আবার নিজের সুরে প্রথম কণ্ঠ। তবে কোনো সিনেমারে জন্য নয়। গানটি প্রকাশ করেবে সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস)। এই গানের খবরও আগেই জেনেছেন অনেকেই। অনেকদিন থেকেই তাই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রুনা লায়লার এই নতুন গান।

আজ শনিবার সবার অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন থেকে প্রকাশ হবে রুনা লায়লার সুরে এবং কণ্ঠে আলোচিত সেই গানের ভিডিও। গানটির শিরোনাম ‘ফেরাতে পারিনি’। কবির বকুলের লেখা গানটির সংগীতায়োজন করেছেন রাজা কাশেফ।

জীবনের বাস্তবতা, প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তির গল্পে প্রডাকশন হাউজ প্রেক্ষাগৃহের ব্যানারে গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন শাহরিয়ার পলক। মিউজিক ভিডিওতে নিলয় আলমগীর এবং সালহা খানম নাদিয়ার অনবদ্য অভিনয় ছড়িয়েছে মুগ্ধতা আর রুনা লায়লার উপস্থিতি দিয়েছে পূর্ণতা।

গানটি নিয়ে রুনা লায়লা বলেন, ‘গানটি মেলোডিয়াস ঘরানার, ক্লাসিক্যাল বেইজড। আমার বিশ্বাস, এই গান শ্রোতা-দর্শকের মধ্যে অন্যরকম ভালো লাগার সৃষ্টি করবে। গানের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই অনেক শ্রম দিয়ে গানটি করেছি। বড় কথা, গানটির সঙ্গে আমাদের প্রত্যেকের ভালোবাসা জড়িয়ে আছে।’

ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে পাওয়া যাবে গানটির ভিডিও। পাশাপাশি গানটি শুনতে পাওয়া যাবে ডিএমএস ওয়েবসাইট, জিপি মিউজিক এবং বাংলালিংক ভাইবে।

এদিকে রুনা লায়লার জন্মদিন আগামীকাল। পাঁচ দশকের দীর্ঘ সংগীত জীবনে ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন দমাদম মাস্ত কালান্দার খ্যাত এই গুণী তারকা শিল্পী। কুড়িয়েছেন উপমহাদেশের কোটি মানুষের ভালোবাসা।

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সংগীত শিল্পী। তার মামা সুবীর সেন ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী।

রুনা লায়লার যখন আড়াই বছর বয়স তার বাবা রাজশাহী থেকে বদলি হয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে যান। সে সূত্রে তার শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে।

জন্মদিন প্রসঙ্গে এ শিল্পী বলেন, ‘জন্মদিনে আমি আমার মুরব্বিদের কাছ থেকে আশীর্বাদ কামনা করছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে আমি সুস্থ থাকি, ভালো থাকি। আরো ভালো ভালো কিছু গান যেন গাইতে পারি।’

১৯৭৪ সালের শুরুতে প্রয়াত সত্য সাহার সুরে ‘জীবন সাথী’ ছবিতে গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন তিনি। গানের কথা ছিল ‘ও জীবন সাথী তুমি আমার’। এ গানে তার সঙ্গে কণ্ঠ দেন খন্দকার ফারুক আহমেদ। তবে পাকিস্তানের ‘জুগ্নু’ ছবিতে ছোটবেলায় রুনা লায়লা প্রথম প্লেব্যাক করেন। এরপর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অসংখ্য ছবিতে তিনি প্লেব্যাক করেছেন।

সংগীতে আকাশছোঁয়া সাফল্য অর্জন করা শিল্পী রুনা লায়লা নাচেও বেশ পারদর্শী। চার বছর বুলবুল একাডেমি করাচিতে ভরতনাট্যম, কত্থক, কত্থকলি শিখেছিলেন এ তারকা। নন্দিত এই শিল্পী অভিনয় করেছেন ‘শিল্পী’ নামক চলচ্চিত্রেও। পেয়েছেন নানা পুরস্কার।

এসবের মধ্যে রয়েছে দেশ থেকে চারবার জাতীয় চলিচ্চত্র পুরস্কার, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার। এছাড়া ভারত থেকে পেয়েছেন সায়গল পুরস্কার। পাকিস্তান থেকে অর্জন করেছেন নিগার, ক্রিটিক্স, গ্র্যাজুয়েটস পুরস্কারসহ জাতীয় সংগীত পরিষদ স্বর্ণপদক।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads