• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

খালেদ খানের প্রতি কৃতজ্ঞ রুনা খান

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯

প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হলেন ভার্সেটাইল অভিনেত্রী রুনা খান। তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘হালদা’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্রাভিনেত্রী হিসেবে এই পুরস্কার পেলেন। আগামী ৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে রুনা খান এই সম্মাননা গ্রহণ করবেন। তবে নিজের অভিনয় জীবনের আজকের অবস্থানের পেছনে এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্তিতে কিছু মানুষের কাছে রুনা খান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

শুরুতেই যে মানুষটির প্রতি রুনা খান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, তিনি সাংবাদিক দাউদ হোসেইন রনি। রনির হাত ধরেই থিয়েটারের সঙ্গে রুনা খানের সম্পৃক্ততা। তবে সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ তিনি বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের ‘যুবরাজ’খ্যাত অভিনেতা খালেদ খানের প্রতি।

রুনা খান বলেন, ‘আমি যখন নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের প্রথম নাটকটি করি, তখন রিহার্সেলের কারণে প্রায় সময়ই দেরি করে আমাকে ইডেন কলেজের ছাত্রীনিবাসে যেতে হতো। কিন্তু রাত আটটার পর ছাত্রীনিবাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে আমাকে সেই সময়টায় শ্রদ্ধেয় খালেদ খান তারই বাসায় আশ্রয় দিয়েছিলেন টানা দুই বছর। তিনি যদি আমাকে সে সময় এই আশ্রয় না দিতেন, তাহলে আমার জন্য থিয়েটার করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে যেত। কারণ তখন ঢাকা শহরে আমার কেউ ছিলেন না। তাই আজ নিজের জীবনের এই পর্যায়ে এসে তার কথা ভীষণ মনে পড়ছে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি তার প্রতি, তার পরিবারের প্রতি। একজন খালেদ খান আমার আপন মামা বা চাচা কেউ নন। কিন্তু তিনি আমাকে শুধু আশ্রয় দিয়ে আমার জন্য যা করে গেছেন তা আপন মামা-চাচার চেয়েও অনেক বেশি।’

রুনা খান হালদা সিনেমায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্তিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মহান আল্লাহর কাছে, তার বাবা-মায়ের কাছে, তার স্বামী এষণ ওয়াহিদ, তার পরিবারের সবাই, নির্মাতা তৌকীর আহমেদ ও হালদা সংশ্লিষ্ট সবার কাছে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি জুরি বোর্ডের সম্মানিত বিচারকমণ্ডলীর প্রতি, কারণ তারা যোগ্য মনে করেছেন বিধায়ই এই সম্মাননা পেলেন তিনি। সর্বোপরি তার অভিনয় জীবনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যারা তাকে সহযোগিতা করেছেন, পাশে থেকেছেন, তাকে ভালো বেসেছেন, অনুপ্রেরণা দিয়েছেন এবং সংবাদ মাধ্যমের সবার প্রতিই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

রুনা খান এই মুহূর্তে মানিকগঞ্জে আছেন। সেখানে তিনি রাফাত মজুমদার রিংকুর নির্দেশনায় ‘বোধ’ নামের একটি টেলিফিল্মে অভিনয় করছেন। এছাড়া গেল মঙ্গলবার তিনি গাজী ফারুকের নির্দেশনায় ‘মধ্যস্বত্বভোগী’ নাটকের কাজ শেষ করেছেন। প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তিতে রুনার স্বামী এষণ ওয়াহিদ তাকে একটি গহনার সেট ও একটি শাড়ি উপহার দিয়েছেন। আর তা পরিধান করেই তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করবেন। রুনা খানের জন্ম টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে; কিন্তু তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের সখীপুরে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads