বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিশীল কণ্ঠস্বর অবনী মাহবুব। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এই তরুণী শৈশব থেকেই গানের পাগল। ছায়ানট থেকে পাঠ নেওয়া এই শিল্পী বিদেশে দেশের জন্য কাজ করে চলেছেন। বর্তমানে গানের মধ্য দিয়ে আবারো লাইমলাইটে এসেছেন।
রবীন্দ্র সংগীত দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু হলেও অবনী বর্তমানে আধুনিক বাংলা গান নিয়ে কাজ করছেন। নতুন বছরে তিনি চমক দিতে যাচ্ছেন শ্রোতাদের। শিগগিরই মুক্তি পাবে তার প্রথম মৌলিক গান আমি তো পাইনি মেঘের দেখা, আমি তো যাইনি একা একা। গানটি লিখেছেন কবি পলিন কাওসার, সুর ও করেছেন গুণী এই সংগীত ব্যক্তিত্ব। গানটি রেকর্ডিং হয়েছে ঢাকায় মিউজিক ডিরেক্টর অটুমনাল মুনের স্টুডিওতে। গানটির সংগীত আয়োজন, রেকর্ডিং, মিক্সিং, মাস্টারিং সব করেছেন মুন। গানটি প্রথমে আইটিউন্স, স্পটিফাই, গুগল প্লেতে রিলিজ হবে।
গানটির মিউজিক ভিডিও শুট হয়েছে ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে। প্রেমের এই গানটি একটি মিষ্টি সুরে বিরহের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। গানটি রিলিজ হবে অবনী মাহবুবের নিজস্ব ইউটিউব অবনী মাহবুব থেকে। গানটি দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আশা করছেন বর্তমানে ঢাকা অবস্থান করা অবনী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গানটির কথা এককথায় অসাধারণ। প্রেমের এই গানটি সবার হূদয় ছুঁয়ে যাবে আশা করছি। অবনী আরো বলেন, ছেলেবেলা থেকেই আমার গানের হাতেখড়ি। মাঝখানে বিরতি গেলেও এখন নিয়মিত গান করছি। দর্শকদের ভালো ভালো গান উপহার দিতে চেষ্টা করছি।’
এর আগে জি-সিরিজ থেকে প্রকাশিত হয় অবনী মাহবুবের কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জনপ্রিয় গান বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল গানটি। বর্ষা উপলক্ষে শ্রোতাদের সামনে গানটি নতুন আঙ্গিকে প্রকাশ করেন এ শিল্পী। গানটির সংগীতায়োজন করেন কলকাতার সংগীত পরিচালক সৌরভ চক্রবর্তী। গানটির মিউজিক ভিডিও চিত্রায়িত হয় অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের সিডার ক্রিকে। এছাড়া জি-সিরিজ থেকে আরো দুটি গান রিলিজ হয়েছে। গান দুটি হলো তুমি রবে নীরবে ও তুমি কোন কাননের ফুল।
সম্প্রতি কলকাতায় অনেকগুলো গান রেকর্ড করেছেন অবনী। সেখান থেকে তিনটি গানের মিউজিক ভিডিও কলকাতাতেই শুট করেছেন। গানগুলোর মধ্যে একটি রয়েছে বিখ্যাত লোকগীতি শিল্পী শাহ আবদুল করিমের গান। একটি রবীন্দ্রসংগীত আর একটি রবীন্দ্রসংগীতের সাথে অন্য এক ধরনের গানের সংমিশ্রণ। গানটিতে অবনীর সাথে অংশ নিয়েছেন কলকাতার এ সময়ের একজন জনপ্রিয় ও ব্যস্ত সংগীতশিল্পী। সবগুলো গানের রেকর্ডিং হয়েছে কলকাতার স্বনামধন্য স্টুডিও ভাইব্রেশন-এ। গানগুলোর সুর আয়োজন করেছেন কলকাতার ডিরেক্টর সৌরভ চক্রবর্তী। রেকর্ডিং ও মিক্সিং করেছেন গৌতম বাসু।